সারারাতের তীব্র গরমের পর সোমবার ভোরে রাজধানীতে বৃষ্টির দেখা মেলে। কিন্তু সকাল আটটার পর থেকেই শরীরে আবারও প্রচণ্ড গরম এবং অস্বস্তি অনুভব হতে থাকে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তিন কারণে এইরকম গরম অনুভূত হচ্ছে।
গরমের তিন কারণ
আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, রবিবার দেশে ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। সেটি এই সময়ে স্বাভাবিক বলা যাবে না। কারণ, গত ৩০ বছরের এই দিনের হিসাব গড় করলে তাপমাত্রা হওয়ার কথা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, রবিবার স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা ছিল। এর কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে আবহাওয়া অফিস জানায়— বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি, বাতাসের গতিবেগ কম, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে একেবারেই ফাঁক না থাকা, দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যের তাপ ভূ-পৃষ্ঠে পড়ার কারণে গরম যতটা না— ততটা অনুভূত হচ্ছে।
সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার মধ্যকার পার্থক্য না থাকা, গরম বেশি অনুভূত হওয়ার আরেকটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রবিবার (২ আগস্ট) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ এর সামান্য বেশি, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭। পার্থক্য ১০ ডিগ্রির কম থাকলে এরকম অস্বস্তি অনুভব হওয়ার কথা।’ মৌসুমি বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আগাম সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে সূর্যের দক্ষিণায়ন শুরু হলে এই অস্বস্তি দূর হতে শুরু করবে। এসময় জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় তাপমাত্রা যা-ই থাকুক গরমের ফিলিংস বেশি হবে। গতকাল রবিবার বাতাসে জলীয় বাষ্প ছিল ৯৫, বিকাল সেটা ছিল ৮৮। আজকেও পরিমাণটি সেরকমেরই।
আবহাওয়াবিদরা আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, মৌসুমি বায়ুর কারণে শ্রাবণে গরম বাড়বে। শ্রাবণের ১৯ দিন পেরিয়ে আসার পর এখন সেই গরমের অস্বস্তিতে পড়েছে সারাদেশ। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়— মৌসুমি বায়ু ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন