মেজর সিনহা নিহতের ঘটনায় দ্রুত বিচার চান অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা

প্রেস ব্রিফিংয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তারা টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খানের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা। বুধবার (৫ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের কল্যাণ সমিতির (রাওয়া) চেয়ারম্যান মেজর (অব) খন্দকার নুরুল আফসার।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান নিহত হওয়ায় আজকের সব অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের মনোভাব কি আপনারা বুঝতে পারছেন। আমরা একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য, আমরা অবসরে গেলেও রিজার্ভিস্ট হিসেবে নিয়োজিত আছি। তাই আমরা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে পারি না। আমরা ইচ্ছা করলে রাস্তায় নেমে অশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করতে পারি না। বাংলাদেশের জন্য সেনাবাহিনীর অবদান কী সেটা আমাদের চেয়ে আপনারা ভালো বুঝেন। আমরা জানি প্রচারেই প্রসার কিন্তু আমরা প্রচারে বিশ্বাসী না। কিন্তু আজকে অনেকটা বাধ্য হয়ে , আমার সহকর্মীদের আবেগ, ভারাক্রান্ত হৃদয়, সেটা দেখে আপনাদের সামনে আমি উপস্থিত হয়েছি।

চেয়ারম্যান মেজর (অব) খন্দকার নুরুল আফসার আরও বলেন,  আজকে যারা সেনাবাহিনীতে চাকরিরত আছেন এবং অবসরপ্রাপ্ত হয়েছেন তাদের মনে অনুভুতির বহিঃপ্রকাশ আমরা ঘটাবো। আমরা চাই যিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন এস আই লিয়াকত, ওসি প্রদীপসহ তার সহযোগী যারা আছেন তাদেরকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করে তাদেরকে অন্তরীণ রাখা হোক। আমরা চাই প্রত্যক্ষদর্শী যারা ছিল তাদেরকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হোক এবং তাদের পরিবারকে সুরক্ষা দিতে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হোক।

আমাদের দাবি এই ঘটনা অতি দ্রুত বিচার আদালতে নিয়ে দ্রুত বিচার আদালতের মাধ্যমে এর পরিসমাপ্তি ঘটানো হোক। আমরা চাই সরকার যে সময় বেঁধে দিয়েছে এর ভিতরে এই ঘটনার তদন্ত এবং এটা যেন দীর্ঘায়িত না করা হয়।

রাওয়ার চেয়ারম্যান এই দাবি র‍্যাবের মাধ্যমেও করার আহ্বান জানান। দাবিগুলো প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন,  তিন বাহিনীর প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে এই ঘটনার বিচার দাবি করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করবো, যাতে সুষ্ঠু বিচার হয় এবং তড়িৎ বিচার হয়। আমরা ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে , উনি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে একটি নির্দেশ দিয়েছেন এবং দ্রুত তা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।