শুক্রবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজার সামনে, গুলশান-২ ডিএনসিসি মার্কেটের সামনে, কাকলী বাসস্ট্যান্ড, শ্যাওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড, মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের শাহ আলী মার্কেটের কোনায়, মিরপুর শপিং মলের নিচে, মিরপুরে সনি সিনেমা হলের সামনে, উত্তরার মাসকট প্লাজার সামনে, খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ড, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেটের সামনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কোথাও বেসিন আছে, আবার কোথাও নেই। বেসিন থাকলেও সচল নেই একটিও।
অথচ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। এই সচেতনতার প্রথম শর্ত হচ্ছে হাত ধোয়া। মূলত পথচারীদের সচেতন করে তুলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব স্থানে সাবান ও পানি সরবরাহ করা হবে।’
গুলশান ২ নম্বর ডিএনসিসি মার্কেট সামনে যে বেসিন রয়েছে, সেটিও পড়ে রয়েছে অযত্নে অবহেলায়। সেটির পাশের এক ফল বিক্রেতা জানান, আগে প্রতিদিন ওয়াসার গাড়ি পানি দিয়ে যেতো, সাবান থাকতো। তবে এই এলাকার কিছু পথশিশু সে সাবানগুলো মুহূর্তের মধ্যেই নিয়ে চলে যেতো। আর ওই পানি দিয়ে তারা গোসলও করতো। এরকম কিছুদিন করতে করতে প্রায় দুই মাস যাবৎ এটি এখন বন্ধ রয়েছে। কেউ খোঁজ নিতে আসে না।
বনানীর কাকলী বাসস্ট্যান্ডে যে জায়গাটিতে হাত ধোয়ার বেসিন রাখা ছিল, সেখানে বেসিন নেই। সেখানের পথচারীরা জানান, এই জায়গাটিতে একটি বেসিন সেট ছিল। প্রথম কিছুদিন খুব ভালো চললেও পরে সেটিতে হঠাৎ করে পানি-সাবান দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এর কয়েকদিন পরে এটি আর এখানে দেখা যায়নি। কে বা কারা নিয়ে গেছে সেটা বলতে পারছি না।
রাজধানীর শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে বেসিনের কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। সেখানে দোকানিরাও জানিয়েছে, কোনোদিন তাদের চোখে পড়েনি। মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে শাহ আলি প্লাজা চারদিকে ঘুরে বেসিনের কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে মিরপুর-২ শপিং মলের সামনে যে বেসিনটি রাখা হয়েছিল সেটি প্রায় ২ মাস আগে সিটি করপোরেশনের লোক এসে নিয়ে গেছে বলে জানান সেখানে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা। পরে মার্কেট কর্তৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে সেখানে একটি বেসিনের ব্যবস্থা করেছে।
হাত ধোয়ার এই বেসিনগুলোর এমন করুণ অবস্থা কেন—এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পার্মানেন্ট করার একটা পরিকল্পনা করছি। যার ফলে নতুন করে সেখানে আর হাত দিচ্ছি না। এগুলো পার্মানেন্ট কীভাবে করা যায় তার জন্য ওয়াসার সঙ্গে কথা বলে সিভিল কনস্ট্রাকশন করে পার্মানেন্ট করার ব্যবস্থা করছি। বর্তমানে আগের পরিকল্পনাটি স্থগিত রয়েছে, যেখানে চালু আছে তা চলছে। এছাড়া অনেক বেসিন ভাড়া করা ছিল, সেগুলো ফেরত দেওয়া হয়েছে।’