আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। তিনি জানান, গত ১ জুন করোনার সময়ে সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে গর্ভবতী মায়েদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা টেস্টসহ অন্যান্য চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে মামলাটি নতুন কোর্টে শুনানির জন্য দিন ধার্য হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার এ মামলার শুনানি নিয়ে আদালত আগের নির্দেশনা অব্যাহত রেখেছেন এবং মামলাটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মে করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশের গর্ভবতী মায়েদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকের সরকারি ইমেইলে একটি নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠান। কিন্তু সে নোটিশের জবাব না পেয়ে গত ৩১ মে করোনাকালে গর্ভবতী নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা টেস্ট ও অন্যান্য চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তিনি। করোনাকালে চিকিৎসা না পাওয়া গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সংযুক্ত করে জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করা হয়।
রিটে করোনাকালে গর্ভবতী মায়েদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের অধিকাংশ হাসপাতালে করোনা শনাক্তে পৃথক ইউনিট চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছিল।