নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু

হাসপাতালে স্বজনদের আহাজারি, ছবি: আমানুর রহমান রনি

নারায়ণগঞ্জের তল্লা বায়তুল সালাহ জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১ জন মারা গেছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মোট ৩৭ জন চিকিৎসাধীন ছিল। ইনিস্টিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল জানান, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

শনিবার (৫ সেপ্টম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, চিকিৎসাধীন সবাই আশঙ্কাজনক, কেউ আশঙ্কামুক্ত নয়। শুক্রবার  রাতে হাসপাতালে ভর্তির পর শনিবার সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, সাব্বির, দেলোয়ার, জুয়েল, জামান, জুবায়ের, হুমায়ুন কবির, মোস্তফা কামাল, ইব্রাহিম, রিফাত, জুনায়েদ ও কুদ্দুস বেপারি।

হাসপাতালে স্বজনদের আহাজারি, ছবি: আমানুর রহমান রনি

ডা. সামন্ত লাল বলেন,  ‘আমাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন দিয়েছিলেন। তিনি দগ্ধদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। চিকিৎসার সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা তার নির্দেশনা অনুযায়ী সব ব্যবস্থা করেছি। যারা এখানে চিকিৎসাধীন সবাই আশঙ্কাজনক। আমরা তাদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজের সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে। ফরজ নামাজের মোনাজাত শেষে অনেকে সুন্নাত ও অন্য নামাজ পড়ছিলেন। এসময় মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের প্রায় প্রায় সবাই দগ্ধ হন। ছবি: আমানুর রহমান রনি

ডা. সামন্ত লাল সেন শুক্রবার জানান, দগ্ধদের মধ্যে বেশির ভাগেরই মেজর বার্ন। প্রাথমিকভাবে অ্যাসেসমেন্ট চলছে, তবে কারও অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়। দগ্ধদের অনেককে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। সব কিছু শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে কত জনকে কোথায় নেওয়া হলো, সেটা বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এক কথায় বলতে গেলে, বেশিরভাগেরই পুড়ে যাওয়ার পরিমাণ অনেক বেশি।

আরও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে নামাজের সময় মসজিদে এসি বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩৬