সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের যে শিক্ষানীতি আছে সেটি ২০১০ সালের। পৃথিবী এখন দ্রুত বদলাচ্ছে। দশ বছর অনেক সময়। অনলাইন নিয়ে আমাদের শিক্ষা নীতিতে খুব বেশি কিছু নেই। কিন্তু অনেক কিছু তো বদলে গেছে। সে কারণেই এডুকেশন পলিসিকে রিভাইস করার উদ্যোগ ইতোমধ্যেই নিয়েছি।’
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির পরও অনলাইন শিক্ষা থাকবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাঁচ বছর বাদে অনলাইন এডুকেশনে আমাদের যেতেই হতো, সেটি এখনই আমরা করছি। এর অর্থ হলো কোভিড পরিস্থিতি চলে গেলেও অনলাইন এডুকেশন ব্যবস্থা থাকবে। আমরা ক্লাস রুমেও ক্লাস করবো, অনলাইন এডুকেশনও চালু রাখবো। ’
অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে আজকে কেউ একজন কর্মজগতে প্রবেশ করছে, সেখানে দ্রুত নতুন দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন হবে। তার নিজের দক্ষতাকে বাড়িয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হবে। তখন কিন্তু আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে এসে তার শেখার সুযোগ হবে না। কিভাবে সে তার দক্ষতাকে বাড়িয়ে নেবে, তার সুযোগ করে দেবে অনলাইন এডুকেশন। ’ জ্ঞানের নানাবিধ শাখায় বিচরণ করতেই অনলাইন এডুকেশন জরুরি বলে উল্লেখ করেন দীপু মনি।
‘ই লার্নিং’ ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের ‘ইউনিভার্সিটি অব সারে’ এর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ওসামা খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ।
আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশিদ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কারম্যান জেড লামাংনা, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মুরাদ হোসেন মোল্লা, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি’র ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমদ, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইশতিয়াক আজিম প্রমুখ।