ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় রাজনীতি ও ব্যবসা একাকার হয়ে গেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতীয় সংসদে, মূল পেশা ব্যবসা এমন সংসদ সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র ১৭.৫ শতাংশ। দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় বর্তমানে সেটি ৬২ শতাংশ।
পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনে হাত ধরে পরবর্তীতে সেনাশাসন, স্বৈরশাসন ও স্বৈরশাসকদের হাত ধরে যে প্রক্রিয়া শুরু হয় তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে পরবর্তী দীর্ঘ প্রক্রিয়ায়। শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয় দেশের সকল রাজনৈতিক অঙ্গনের ব্যবসা ও রাজনীতি একাকার হয়ে গেছে। সেটা দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি দুর্বৃত্তায়িত ব্যবসা।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে ব্যবসায়ীসহ যে কোন পেশার মানুষ আসবে এটা তার মৌলিক অধিকার এতে বাধা দেওয়ার কিছু নেই। যখন রাজনীতিকে নিজেদের সম্পদ বিকাশের হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সেই বিবেচনায় যখন রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ হয় তখন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
বর্তমানে রাজনীতি ও ব্যবসার মধ্যে স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এখন রাজনীতি ব্যবসা কে নিয়ন্ত্রণ করে না, রাজনীতি সমাজ কেউ নিয়ন্ত্রণ করে না, রাজনীতির সুশাসন নিয়ন্ত্রণ করে না, নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবসা ও ব্যবসায়িক স্বার্থ। যারা ব্যবসা ও রাজনীতি একাকার করে দিয়েছেন তাদের কাছে জনগণের স্বার্থ ও ব্যক্তিস্বার্থের মধ্যে ফারাক নেই।
রাষ্ট্রকাঠামো ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান ভিডিওবার্তায় বলেন, এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে, আমাদের রাষ্ট্রকাঠামো ব্যবসা বা ব্যবসায়ী সংগঠনের হাতে জিম্মি হয়ে গেছে। সেটিং ব্যাংকিং বা আর্থিক খাতই হোক, তৈরি পোশাক খাত বা সড়ক পরিবহন খাত হোক।