রাজধানীতে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা!

সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালরাজধানীর ভাটারায় গৃহবধূকে হত্যার পর স্বামী নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত স্বামীকে পুলিশি পাহারায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতের নাম মনিরা দালবৎ (২৭)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার বালীগাঁও গ্রামের এডিওয়াট ডংয়ের মেয়ে। তার স্বামীর নাম দিলিপ মারাক।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান পারভেজ জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত (১৬ সেপ্টেম্বর) সোয়া ২টার দিকে ভাটারার ঢালিবাড়ি বালুর মাঠ এলাকায় বাবুলের টিনশেড বাসা থেকে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, মাথায়  ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাতের মতো জখম ছিল। আর ওই সব আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজামান জানান, স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী নিজেই নিজের গলা ধারালো কিছু দ্বারা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। আহত স্বামী দিলিপ মারাককে পুলিশের পাহারায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভগ্নিপতি রুবেল বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে এসেছি। ১০/১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের একটা কন্যাসন্তান রয়েছে। ভাটারায় স্বামীর সঙ্গে থাকতো মনিরা। সন্তান গ্রামের বাড়িতে থাকে। মনিরা একটি বিউটি পার্লারে চাকরি করতো। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে কিছুই করতো না। স্বামী অন্য জায়গায় চাকরি করতো।’

ময়নাতদন্তের পর বিকালে স্বজনরা মরদেহটি নিয়ে যান।