আউয়াল দম্পতির জামিন কেন বাতিল হবে না জানতে চেয়ে রুল

হাইকোর্টদুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভিনের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

এর আগে দুদক একেএমএ আউয়ালকে তিনটিতে এবং তার স্ত্রীকে একটি মামলায় আসামি করে মামলা দায়ের করে। এ তিন মামলায় গত ৭ জানুয়ারি তারা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে ৩ মার্চ তারা পিরোজপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাদের ডিভিশন দিতে আবেদন করেন আইনজীবীরা। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে জেলা জজকে বদলি করা হয়। বিকালে ফের জামিন আবেদনের পর ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ (যুগ্ম জেলা জজ) নাহিদ নাসরিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

তাই ওই আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করে আউয়াল দম্পতির জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানায় দুদক।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক পরিচালক মো. আলী আকবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালে তিনটি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে তিনটিতে আউয়াল এবং একটিতে লায়লা পারভিনকে আসামি করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জেলার নাজিরপুর থানার সামনে ও উপজেলা সদরের ভূমি অফিসের পেছনের ১৩ শতাংশ সরকারি খাস জমি ছয় ব্যক্তির নামে নিয়ে নিজের দখলে নেন এমপি আওয়াল। পরে সেখানে তিনি  দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অফিস হিসেবে ভাড়া দেন। এতে চুক্তি করেন এমপির স্ত্রী লায়লা পারভিন। 

এ জালিয়াতির ঘটনার অনুসন্ধানের পর স্থানীয় সহকারী কমিশনার-ভূমি (এসিল্যান্ড) দুদক কর্মকর্তাকে বলেছেন, তিনি ওই ছয় ব্যক্তির কোনও অস্তিত্ব খুঁজে পাননি। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসা ছয় ব্যক্তির অস্তিত্ব না থাকলেও আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীনের নামে বাড়ির বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সব ধরনের প্রমাণ পাওয়ার পর দুদক অনুসন্ধান শেষ করে মামলা দায়ের করেছে।

একেএমএ আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দুবার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।