তারা হলেন- বিদেশ ফেরত মামা হযরত আলী (৩৫), তার ভাগ্নে আল আমিন (২৫) এবং কসমেটিক ব্যবসায়ী সুনয়ন মন্ডল (৪০)।
কিছুটা জ্ঞান ফেরার পর আল আামিন জানান, তার মামা হযরত আলী চার বছর পর বাহরাইন থেকে আজ শনিবার ঢাকায় আসেন। তাকে রিসিভ করতে দোহার থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। তার কাছে ছিল দুই হাজার টাকা। এর মধ্যে পাঁচশ’ টাকা খরচ হয়।
আল আমিন জানান, মামা আসার পর তাকে নিয়ে বিমানবন্দর বাস স্টেশন থেকে গুলিস্তানের উদ্দেশে বাসে চড়েন। তার মামা ছিল সামনের সিটে, তিনি ছিলেন তার পেছনের সিটে। আল আমিন বলেন, ‘কিছুদূর যেতেই পাশের সিটের এক লোক আমার সঙ্গে কথাবার্তা বলে। জানায় তাদের বাড়িও দোহারে। তারাও দোহারে যাবে। পরে তারা বিস্কুট খেতে দেয় এবং নিজেরাও খায়। এরপরে আস্তে আস্তে অচেতন হয়ে পড়ি। জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমরা হাসপাতালে। সঙ্গে কিছুই নেই। মোবাইল টাকা ও ব্যাগ সবই নিয়ে গেছে।’
অপরদিকে, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুর রহমান সন্ধ্যায় সুনয়ন মন্ডলকে (৪০) ঢামেকে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, আজ দুপুরে পুলিশের রেকার গাড়ির চালক বেগুনবাড়ি লাভ রোডের মোড় থেকে অচেতন অবস্থায় সুনয়ন মন্ডলকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যান। সংবাদ পেয়ে ওই হাসপাতাল থেকে ঢামেক হাসপাতাল আনা হয়। খবর পেয়ে সুনয়ন মন্ডলের খালাতো ভাই পরিতোষ সরকার হাসপাতালে ছুটে আসেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার ভাই কসমেটিকস ব্যবসায়ী। তিনি বরিশাল আগৈলঝরা মৈস্তারকান্দি গ্রামের সুনিল সরকারের ছেলে। সেখানে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তিনি বলেন, ‘সুনয়ন মালামাল কেনার জন্য গতকাল শুক্রবার ঢাকায় আসে। রাতে মগবাজারে আমার বাসায় ছিল। সকালে চকবাজারের উদ্দেশে বের হয়। সঙ্গে ছিল দেড় লাখ টাকা। তার কাছে কিছুই পাওয়া যায়নি। সবই খোয়া গেছে। ঢামেকে স্টমাক ওয়াশের পর শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক।’