রেলের সম্পদ অবৈধ দখল বন্ধের আহ্বান যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের

১১

রেলের সম্পদ অবৈধ দখলের নামে হরিলুট বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এজন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর পাহাড়তলীতে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার দফতরে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুদ্দিন চৌধুরী।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আওতাধীন চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর ,কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গঙ্গাসাগর এলাকায় রেলওয়ে স্টেশন এবং রেল লাইনসহ অপারেশনাল কাজে ব্যবহারের ৪৩৯৬ একর জায়গায় ও কোনও ধরনের লিজ না দেওয়া ১৬৯ দশমিক ৮২ একর জায়গায় বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম রেলকে ঘিরে মাফিয়া চক্রগুলো এসব জায়গায় অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে কোটি কোটি টাকা হরিলুট চালাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় রেল লাইনের ওপর বাজার বসানো হয়েছে। এসব কাজে জড়িত রেলের কিছু স্টেশন মাস্টার, ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী। বিভিন্ন সময়ে দেশের গণমাধ্যমে বেশকিছু সংবাদ প্রকাশ হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি করে সংগঠনটি।

সংগঠনটি আরও বলছে, রেল লাইনের পাশে গড়ে ওঠা এসব স্থাপনাগুলো থেকে বিভিন্ন সময় রেল যাত্রীদের ওপর পাথর নিক্ষেপ, ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ঘটছে। রেল লাইনের পাশে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা থাকায় অপরাধীরা রেল থেকে নেমে সহজে এসব স্থাপনায় আত্মগোপন করত পারে। শুধু সাধারণ যাত্রী নয়, ২০১৭ সালে এসব অবৈধ স্থাপনা থেকে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করায় ডিউটিরত অবস্থায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার এস আই সালাউদ্দিন গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তারপরেও এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারণের বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নীরব অবস্থান।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দেশের বর্তমান সরকার রেলপথে যাত্রী সাধারণকে নিরাপদ নির্বিঘ্ন সেবা প্রদান করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিছু ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে সরকারের সব অর্জন ম্লান হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ একটি টিম নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেল লাইনের প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গেলে আমরা দেখতে পাই, নগরীর ষোলশহর, জান আলী হাট, পটিয়া দোহাজারী রেলওয়ে স্টেশন, রেল লাইনসহ  অপারেশনাল কাজে ব্যবহারের জায়গাগুলো এখনও অবৈধ দখলদারদের হাতে। এসব স্টেশনের মাস্টারদের ছত্রছায়ায় রেল লাইনের ওপর বাজার, রেল লাইনের পাশ ঘেঁষে অবৈধ বস্তি, দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনা থেকে মাসে লাখ লাখ টাকাও চাঁদাবাজি হয়ে থাকে। অথচ দীর্ঘদিন ধরে এমন অপকর্ম চললেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে উদাসীন। স্মারকলিপিতে প্রধানমন্ত্রী, রেলপথ মন্ত্রী ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।