সৌদি যেতে প্রবাসীদের যত ফ্লাইট লাগে অনুমোদন দেবে বেবিচক

৭৭

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেছেন, এত দিন সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের আকাশপথে যোগাযোগ পুরাপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল।  মধ্য প্রাচ্যের অনেক দেশই ফ্লাইট শুরু করেছে। আমরা চাচ্ছিলাম সৌদি আরব থেকেও ফ্লাইট শুরু হোক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশিদের ফিরে যেতে সাউদিয়া যে কয়টা ফ্লাইটের অনুমোদন চাইবে, আমরা দেবো।’

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গণশুনানি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মফিদুর রহমান বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স আমাদের কাছে অনুমোদন চায়, আমরা অনুমতি দিয়েছি।  যদিও আমাদের বাংলাদেশি এয়ারলাইন্সও সেদেশে যেতে পারবে— এই শর্তে আমরা অনুমোদন দিয়েছি। আমরা জানতে পেরেছি, যাদের আকামার মেয়াদ আছে তারা যেতে পারবেন। শুধু ভিজিট ভিসা ও ওমরা ভিসায় যাওয়া যাবে না। আমরা জানতে পারলাম, বিমানকে চার্টার্ড ফ্লাইটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্যিক  ফ্লাইটের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বিমানকে অনুমোদন না দেওয়ায় অনেকেই চাচ্ছিলেন সাউদিয়ার অনুমোদন বাতিল করা হোক, কিন্তু আমরা সিভিল এভিয়েশন থেকে বাতিল করিনি। আমাদের বাংলাদেশি প্রবাসী ভাইদের যাওয়া নিশ্চিত করতে  সাউদিয়া ও বিমান যেন চলাচল করতে পারে, সে বিষয়ে কথা বলেছি।’

বেবিচক চেয়ারমান বলেন, ‘আমাদের বিমানও যেন যেতে পারে, সেই চেষ্টা করছি।  বিমান থেকে জানতে পেরেছি, তারা এখনও অপারেশনের অনুমতি পায়নি। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। আমরা সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি। বাংলাদেশিদের ফিরে যেতে সাউদিয়া যে কয়টা ফ্লাইটের অনুমোদন চাইবে, আমরা দেবো। তবুও যেন প্রবাসীরা ফিরে যেতে পারেন। একই সঙ্গে আমাদের বিমান বাংলাদেশও যেন যেতে পারে সেজন্য কাজ করছি। ’

ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মফিদুর রহমান বলেন, ‘সাউদিয়া এয়ারলাইন্স জানিয়েছে— তারা ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে ব্লক করেনি। ট্রাভেল এজেন্সিও টিকিট বিক্রি করছে। আমাদের দেশি কিছু এজেন্সি  টিকিট ব্লক করে ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছে। তারা আমাদের প্রবাসীদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো।’

বিমান চালু হলে যাত্রীরা সুবিধা পাবেন বলে জানান বেবিচক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘বিমান নতুন করে টিকিট বিক্রি করবে না।’