ঢাবির শিক্ষার্থী ধর্ষণ: ভিকটিমের দুই বান্ধবীসহ ৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

র‌্যাবের হেফাজতে মজনুরাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় আসামি মজনুর বিরুদ্ধে  ভিকটিমের দুই বান্ধবী ও এক শিক্ষকের (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ) সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত ।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক  মোসাম্মৎ  কামরুন্নাহার তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। এদিন আদালতে মজনুকে হাজির করা হয়। এপর্যন্ত পাঁচ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ২৬ আগস্ট  ঢাকার নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল-৭ এর বিচারক মোসাম্মৎ  কামরুন্নাহারের আদালত অভিযোগ গঠন করেন। গত ১৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল-৭ এর বিচারক মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

গত ১৬ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আবু সিদ্দিক মজনুকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অভিযোগপত্রে ১৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

গত ৯ জানুয়ারি ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার আসামি মজনুর সাত দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১৬ জানুয়ারি  ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয় মজনু। জবানবন্দি শেষে বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে ধর্ষক মজনু কারাগারে রয়েছে।

এর আগে গত ৬ জানুয়ারি সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে  ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাসস্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। পরে তিনি রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।