চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির বিষয়ে দুদকের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

চট্টগ্রাম ওয়াসাচট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্টে।  আগামী এক মাসের মধ্যে এসব তথ্য জানতে চেয়েছেন আদালত।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ইকরাম উদ্দিন খান চৌধুরী। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা।

এর আগে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুর্নীতির বেশকিছু অভিযোগ প্রকাশিত হয়। এরপর চট্টগ্রামের মোমিন রোডের বাসিন্দা হাসান আলী নামের এক গ্রাহক ওইসব সংবাদ উল্লেখ করে গত ১১ সেপ্টেম্বর দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক বরাবর একটি অভিযোগ জমা দেন। ‘চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ’র গুরুতর দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি প্রসঙ্গে অভিযোগ’ শীর্ষক ওই অভিযোগ করা হয়। কিন্তু দুদক থেকে এ বিষয়ে কোনও সাড়া না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিটে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্তে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়।

রিটে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ড, চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

রিট আবেদনের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে চট্টগ্রাম ওয়াসার বিরুদ্ধে ‘পানি চুরি দুর্নীতির যেন শেষ নেই’, ‘অশীতিপর এমডির মেয়াদ আবারও বাড়ানোর সুপারিশ’, ‘দিনে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে ১২ কোটি লিটার পানি’, ‘নিরাপদ পানির জন্য উগান্ডায় প্রশিক্ষণ’, ‘চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অপসারণ দাবি’, ‘ওয়াসায় আউট সোর্সিং বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ সংযুক্ত করা হয়।