বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ

বিশ্ব পর্যটনআজ বিশ্ব পর্যটন দিবস। কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত খাত হিসেবে অনিশ্চয়তার সামনে দাঁড়িয়ে এ বছর পালিত হচ্ছে দিবসটি। এ বছর ‘গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন’—প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ পালিত হচ্ছে।

১৯৮০ সাল থেকে জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এ দিবস পালিত হচ্ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘পর্যটন ও গ্রামীণ উন্নয়ন’। দিবসটির প্রধান উদ্দেশ্য পর্যটন নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি,  সামাজিক, সাংস্কৃতিক,  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উপযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া।

অন্যান্য বছর নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হলেও এবার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে অনলাইন আলোচনা ছাড়া কোনও আয়োজন নেই।

করোনার প্রথম আঘাতই আসে পর্যটন খাতে। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সব ধরনের পর্যটন বন্ধ হয়ে পড়ে শুরু থেকেই। ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের  (টোয়াব) দাবি, করোনার কারণে কমপক্ষে ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পথে।

ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্পকে চাঙা করতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড পর্যটন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে ইতোমধ্যে একটি রিকভারি প্ল্যান তৈরি করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছেন, তার মধ্যে পর্যটনশিল্পও অন্তর্ভুক্ত।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, ‘আমরা এগিয়ে যাবো, এ জন্য সবার সহযোগিতা দরকার। আমরা সর্বস্তরের মানুষকে পর্যটনে সম্পৃক্ত করে পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন শিল্পকে পরিচালনা করার জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর প্রণয়ন করা হয়েছে।’

গ্রামীণ উন্নয়ন প্রসঙ্গে মাহবুব আলী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রকৃত সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে প্রতিটি গ্রামে। বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামে জড়িয়ে আছে নানা ঐতিহ্য। গ্রামের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে জনসাধারণকে পর্যটন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার জন্য আমরা কাজ করছি। সচেতনতা তৈরির জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্মশালা করছে।’