মৃতের শশুর আবদুল মান্নান বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে মাসুদ রানাকে কাঁচপুরের সিনহা টেক্সটাইল এর সামনে থেকে ধরে নিয়ে আসে পুলিশ। পরে জানতে পারি, তাকে পল্টন থানায় আটক করে রাখা হয়েছে। আমার সঙ্গে ওই থানার এক পুলিশ সদস্যের কথাও হয়। এসময় আমি আমার মেয়ের জামাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা আমার সঙ্গে আর কথা বলাননি। পরে রাত ১১টায় সংবাদ পাই সে অসুস্থ, তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, মাসুদ রানা যাত্রাবাড়ী এলাকার ফয়সাল রোলিং মিলে লোহার প্লেট কাটার কাজ করতেন। কাচপুরেই পরিবার নিয়ে থাকতেন। তার স্ত্রীর নাম রেহানা আকতার। তাদের দুই মেয়ে রয়েছে। মাসুদ রানা মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার চড় বাকুটিয়া গ্রামের মৃত জলিল ব্যাপারীর ছেলে।
মৃতের স্বজনরা বলছেন, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাকে ধরে নিয়ে নিযার্তন করে হত্যা করা হয়েছে। তারা এর বিচার দাবি করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন, মাসুদ রানার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে মাসুদ রানাকে নিয়ে আসেন পল্টন থানার এসআই এনামুল হক। এসআই এনামুল হক জানিয়েছিলেন, সে গুলিস্তান এলাকায় রাস্তায় থেকে অচেতন অবস্থা পড়ে ছিল। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। রাত ১১টায় ঢামেকের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাসুদ রানার লাশ রাতে পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে ঢামেক মর্গে রেখে যায়।
ডিএমপির মতিঝিল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) জাহিদুল ইসলাম সোহাগ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘স্বজনদের অভিযোগ সত্য না। আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তীতে জানাবো।’