অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের চিহ্নিত করতে হাইকোর্টের কমিটি গঠন

সুপ্রিম কোর্টসিলেটের বিয়ানীবাজার সংলগ্ন সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের চিহ্নিত, অবৈধ বালু-পাথরসহ আটক করা ট্রলার ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা তদন্ত করতে কমিটি গঠন করেছেন হাইকোর্ট।

পরিবেশ অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক, সিলেট জেলার পুলিশ সুপারসহ তিন জনের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে বিষয়গুলো তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

পাশাপাশি সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বালু  উত্তোলন বন্ধে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাফসান আল আলভী।

এর আগে সুরমা-কুশিয়ারা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ এবং  অবৈধ বালু-পাথরসহ আটককৃত ট্রলার ছেড়ে দেওয়ার ঘটনার তদন্তে   সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান  আবুল কাশেম পল্লব হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিটে বলা হয়, সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে অবৈধভাবে প্রভাবশালীরা হেভি ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। অথচ বালু উত্তোলনের জন্য তারা কোনও অনুমতি নেয়নি।

বিয়ানীবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান  আবুল কাশেম পল্লব গত ৯ জুলাই একটি মাসিক মিটিং করেন। মিটিংয়ে উপস্থিত ওই এলাকার ৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একমত পোষণ করেন। এসব ইউনিয়ন হলো— আলীনগর, চরখাই, দুবাগ, পুরারবাজার ও শেওলা ইউনিয়ন। এসব এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য প্রতিবছর নদী ভাঙনের শিকার  হয়। মিটিং থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসি ল্যান্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্যবস্থা নেওয়ার। তবে প্রভাবশালীদের কারণে তারা জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন।

পরে গত ১৪ জুলাই স্থানীয়রা অবৈধ বালু, পাথরসহ ১২টি ট্রলার আটক করে বিয়ানীবাজার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। কিন্তু প্রভাবশালীদের চাপে বিয়ানীবাজার থানার ওসি অবনী শংকর কর আটককৃত ব্যক্তিসহ ট্রলারগুলো ছেড়ে দেন। পরে ওই ঘটনায় সংক্ষুব্ধ হয়ে তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।