বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে প্রতিদিনের মতো টিকিট বিতরণের কাজ শুরু করে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স। তবে ৩০ সেপ্টেম্বর অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ভিড় ছিল কম। যাদের ভিসার মেয়াদ আছে কেবল তারাই লাইনে দাঁড়িয়েছেন টিকিটের জন্য।
আল আমিন বলেন, ‘দেশে এসে আট মাস আটকা পড়ে আছি। কোনও আয় নাই, কিন্তু খরচ তো বন্ধ নাই। আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে চলেছি। দেশে এসে কাজও খুঁজেছি, কেউ দেয়নি। ৭ অক্টোবর ফিরে যাবো।’
লক্ষ্মীপুরের আলী হোসেন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের ওপর দিয়ে ধকল গেলো। এপ্রিলে আমার সৌদিতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে টিকিটের সময় ১৬ মার্চে নিয়ে আসি। কিন্তু আমার কপাল খারাপ, সেদিনই সৌদি আরবগামী ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেলো।’
তিনি বলেন, ‘ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছিলো, কফিলের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়াদ বাড়িয়েছি। গত কয়েকদিন ধরে টিকিটের জন্য রীতিমত যুদ্ধ হয়েছে। অবশেষে আজকে টিকিট পেয়েছি।’
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে সৌদি আরবে গেছেন ৯১০ জন। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে সৌদিতে ফ্লাইট শুরু করে বিমান। তবে দেশটির অনুমতি না পাওয়ায় এখনও শিডিউল বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করতে পারেনি বিমান। বাণিজ্যিক ফ্লাইটের রিটার্ন টিকিটধারী যাত্রীদের বিশেষ ফ্লাইটে কোনও অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই সৌদি নিচ্ছে বিমান। ২৬ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বিমান। এরমধ্যে ২৬ সেপ্টেম্বর ২৬০ জন, ২৭ সেপ্টেম্বর ২৬৪ জন, ২৯ সেপ্টেম্বর ৩৮৬ জন প্রবাসী সৌদি আরবে গেছেন।
সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সে ২৪০৮ জন প্রবাসী সৌদি গিয়েছেন। এয়ারলাইন্সটি ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ফ্লাইট শুরু করেছে। ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স। এরমধ্যে ২৩ সেপ্টেম্বর ২৫০ জন, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০৫ জন, ২৬ সেপ্টেম্বর দুটি ফ্লাইটে ৫১৩ জন, ২৭ সেপ্টেম্বর দুটি ফ্লাইটে ৬৭৭ জন, ২৮ সেপ্টেম্বর ৩৮৮ জন, ২৯ সেপ্টেম্বর ৩৭৫ জন প্রবাসী সৌদি আরবে গিয়েছেন।
ছবি: চৌধুরী আকবর হোসেন