এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হক।
এদিকে এ হত্যা মামলায় ১৪ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিন জন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময় পাঁচ আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
গ্রেফতার আসামিরা হলো– মো. শাহীন (৩১), মো. বাচ্চু মিয়া (২৮), মো. বাপ্পি (২১), ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা (২০), মুরাদ মিয়া (২২), মো. সোহেল রানা (৩০), মো. বিল্লাল (২৮), মো. আসাদুল ইসলাম (২২), মো. রাজু (২৩), আবুল কালাম আজাদ (৫০), মো. কামাল হোসেন (৪০), মো. ওয়াসিম (১৪), রিয়া বেগম ময়না (২৭) ও মো. জাফর হোসেন (২০)। তাদের মধ্যে ওয়াসিম, হৃদয় ও রিয়া বেগম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জামিনে মুক্তি পাওয়া আসামিরা হলো– রিয়া বেগম, বাচ্চু মিয়া, শাহীন, মুরাদ ও বাপ্পি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজের সন্তানের ভর্তির ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন তাসলিমা বেগম রেণু। তখন ছেলেধরা সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। ওইদিন সকাল পৌনে ৯টার দিকে উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই রাতেই বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৪শ’থেকে ৫শ’ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাগনে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।