শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত পুকুর দেখতে যেমন

120270198_774873119792692_1726741868153782696_nরাজধানীর গ্রিন রোডে নির্মিত পানি ভবন চত্বরে একটি পুকুর ও একটি জলাধার রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পুকুরটি নির্মাণ করা হয়। পাশাপাশি মূল ভবনের সামনের পানির ফোয়ারাসহ একটি জলাধার রাখা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন ভবনটি সামনের এ পুকুর ও জলাধারটি ভবনের সৌন্দর্য্য আরও বৃদ্ধি করেছে। সদ্য উদ্বোধন হওয়ার ভবনটির পুকুর পাড়ে দর্শনার্থীদের আনাগোনাও বাড়ছে।



প্রায় ২৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১২ তলা বিশিষ্ট পানি ভবন ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্মাণ শেষে বৃহস্পতিবার প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন তিনি।  প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় প্রধানমন্ত্রী এতে জলাধার ও পুকুর সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেন। পরে ২১ হাজার ৪৮৪ বর্গফুট আয়তন সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার ৬২৫ বর্গফুটের একটি জলাধার নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পের প্রধান জলাধারের দৈর্ঘ্য ২৭৫ ফুট এবং প্রস্থ ৭৫ ফুট এবং পুকুরের দৈর্ঘ্য ১৬৪ ফুট এবং প্রস্থ ১৩১ ফুট। এ ভবনেই হবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস।
120508607_626545558233370_425023368089820270_nবৃহস্পতিবার বিকেলে পানি ভবন প্রঙ্গণে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পুকুরটি সংরক্ষণ করা হয়েছে। তাতে স্বচ্ছ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুকুরটির পাড় ঢালাই করে বাঁধাই করা হয়েছে। তাতে বসার জন্য কংক্রিটের টেবিল স্থাপন করা হয়েছে। পুরো পাড় টাইলস করে নির্মাণ করা হলেও তাতে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও ফল গাছের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে দুটি সিঁড়ির ব্যবস্থা। পুকুরের পানিতে রয়েছে শাপলা। বিভিন্ন প্রজাতির মাছও ছাড়া হয়েছে পুকুরে। বিভিন্ন রঙের বাতি দিয়ে এর লাইটিং পুকুরের সৌন্দর্য্য আরও বাড়িয়েছে।
পুকুরটিতে কয়েকজন যুবককে সাঁতরিয়ে গোসল করতে দেখা গেছে। জহির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি জানান, পুকুরটির পানি অত্যন্ত স্বচ্ছ। গভীরতাও অনেক বেশি। সাঁতার কেটে গোসল করা যায়। সুন্দর দুটি ঘাটলাও রয়েছে। গোসল করার সময় মনে হচ্ছে যেন গ্রামের বাড়ির পুকুরে গোসল করছি। পানিও ঠাণ্ডা। পাড়ে বসে সুন্দর সময় কাটানো যায়।
120365301_2153673738097849_8024327534805995223_nসদ্য উদ্বোধন হওয়া ভবনটি দেখতে আসেন শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, পানি ভবনের কথা শুনে আজ দেখতে এসেছি। পুরো ভবন চত্বর ঘুরে অনেক ভালো লেগেছে। সব চেয়ে বেশি ভালো লেগেছে জলাধার ও পুকুরটি। কারণ ঢাকায় আমরা এমন পুকুরের অস্তীত্ব তেমন একটা দেখতে পাই না। পুকুরটি ভবনটির সৌন্দর্য্যকে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব প্রকৌশলীদের নকশায় প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার বর্গফুটবিশিষ্ট এ ভবনের নির্মাণে লেগেছে প্রায় সাড়ে চার বছর। কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পানি ভবনে সোলার প্যানেল, সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, রেইন ওয়াটার রিজার্ভারের মতো পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাসহ ৫৩৬ জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন অডিটরিয়াম, ৪৫০০ বর্গফুটের হেলিপ্যাড, ৩৭৬টি গাড়ি পার্কিংসহ অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে।120476277_3921899737843234_4675158844045675148_n (1)