সচিব জাতীয় অর্থনীতিতে অভিবাসীদের অবদান তুলে ধরে এক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং কর্মসূচি সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘অভিবাসীদেরও দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে এবং এ সম্পর্কে তাদের সচেতন করা জরুরি।’ তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা উল্লেখ করে জনসচেতনতা তৈরিতে সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকা রাখবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রশিক্ষণের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সময়োপযোগী এ আয়োজনের জন্য আইসিএমপিডিকে ধন্যবাদ জানান আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। উদ্বোধন পরবর্তী উপস্থাপনায় সচিব অভিবাসন, অভিবাসনের ধরন, বিশ্বব্যাপী অভিবাসনের বাস্তব চিত্র এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে নিরাপদ অভিবাসনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। অভিবাসনে সংশ্লিষ্ট প্রচলিত বিভিন্ন আইন, নীতি ও বিধিমালাসহ অভিবাসী কর্মীদের বিভিন্ন সমস্যা ও তা নিরসনের জন্য মন্ত্রণালয়ের নেওয়া কল্যাণমুখী নানা পদক্ষেপের বিষয়েও তিনি আলোকপাত করেন।
আইসিএমপিডি জানায়, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের অভিবাসন বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে রবিবার থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। অনলাইন মাধ্যমে পরিচালিত এবং জার্মানির ফেডারেল ফরেন অফিসের অর্থায়নে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো অভিবাসনের বিষয়ে বিস্তৃত, সঠিক ও সময়োপযোগী প্রতিবেদন তৈরিতে জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সক্ষমতা বাড়ানো।
প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় পর্বে মানবপাচার ও মানব চোরাচালান এবং অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আলোচনা করেন আইসিএমপিডি বাংলাদেশের প্রজেক্ট অফিসার খোন্দকার সোহেল রানা। ঢাকার বিভিন্ন দৈনিক, টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমে কর্মরত প্রতিনিধিদের পাশাপাশি যশোর, জয়পুরহাট, খুলনা, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, বরিশাল, জামালপুর, নড়াইল, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, শেরপুর, বাগেরহাট, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা, চাঁদপুর ও রাজশাহীসহ ১৮ জেলার মোট ২৫ জন গণমাধ্যমকর্মী এই প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন আইসিএমপিডি বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর জনাব ইকরাম হোসেন। প্রশিক্ষণ আয়োজনে সার্বিকভাবে সহায়তা করেছেন অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র (এমআরসি) বাংলাদেশের কাউন্সেলর এস এম রিফাত শাহরিয়ার এবং ন্যাশনাল প্রজেক্ট অফিসার রাজীব নন্দন।