চাঁদা আদায়ের অভিযোগে বঙ্গবাজারে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

৫৬৭

অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজধানীর বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকালে এমন অভিযোগে বঙ্গবাজারের সড়ক মোড়  অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নামে কিছু লোক তাদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছেন। এসময় ব্যবসায়ীরা সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকার পর পুলিশের অনুরোধে তারা অবরোধ তুলে নেন।

রিয়াদ হোসেন নামে একজন ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমার কাছে  ১০টি কার্টনের বিপরীতে ৫০ টাকা করে ৫০০ টাকা চাঁদা চেয়েছে। আমরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, তারা আমাদের বলে যে, ‘এটা আমরা মেয়রের কাছ থেকে টেন্ডার নিয়েছি।  মার্কেটে যত মাল ঢুকবে এবং যত মাল বের হবে, টাকা দিতে হবে।’ আমরা তাদেরকে বলেছি, তাহলে মেয়র সাহেব আমাদের চিঠি দেবেন, তারপর আমরা দোকান থেকে চাঁদা দেবো।  এরপর তারা কয়েকজন এসেছে, আমাদের তুলে নিয়ে যেতে চেয়েছে।’’

রিয়াদ হোসেন চাঁদার রশিদ দেখিয়ে বলেন, ‘এখানে স্পষ্ট লেখা আছে তারা যানবাহনের টোল নেবেন। কিন্তু তারা আমাদের প্রতিটি বস্তা ও কার্টন থেকে মার্কেটে ঢুকতেও ৫০ টাকা ও বের হতেও ৫০ টাকা করে নেয়। অথচ আমরা লাভই করি ৫০ টাকা। এর মধ্যে ১০০ টাকা দিলে আমাদের থাকবে কী?’ এসময় আন্দোলনকারীরা ‘মেয়রের নামে চাঁদাবাজি চলবে না’, বলে স্লোগানও দিতে থাকেন।

আন্দোলনকারীদের একজন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘মার্কেটে একটা মালের বান্ডেল নিয়ে যেতে হলে তাদেরকে টাকা দিতে হয়। বের করলেও টাকা দিতে হয়। গোডাউন থেকে আনলেও টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে ব্যবসায়ীদের গালমন্দ করে, মারতে যায়, হুমকি দেয়। এরা নতুন করে আবির্ভাব হয়েছে।’

ওই ব্যক্তি আরও বলেন, ‘তাদের রশিদে লেখা আছে সিটি করপোরেশন। তারা দোহাই দেয় মেয়রের এপিএসের। যারা চাঁদা নেয় তারা বলে— এটা মেয়রের এপিএস টেন্ডার নিয়েছে। তাদের টেন্ডার হলো রাস্তার, কিন্তু তারা চাঁদা তুলছে মার্কেটে। তারা প্রত্যেক মাল থেকে ৫০ টাকা করে দাবি করে। এজন্য আমরা চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে রাস্তায় নেমেছি ‘

তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য ডিএসসিসি মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) নাছিরুল হাসান সজীবকে ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান মিনহাজ এন্টারপ্রাইজের মালিক সাইফুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই ব্যক্তিরা আগেও চাঁদা দিতেন। কিন্তু তখন তারা চাঁদাবাজদের চাঁদা দিতেন। একটি চক্র এই টাকা লুটপাট করে খেয়েছে। এখন আমরা এর ইজারা নিয়েছি। সরকার রাজস্ব পায়। তারা এখন বিভিন্ন কথা বলছে। ’

জানতে চাইলে ডিএসসিসির মহা-ব্যবস্থাপক (পরিবহন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন, তাদের কিছু কথা অতিরঞ্জিত হতে পারে। আমরা ওটা ইজারা দিয়েছি। সেখানে পরিবহন ভেদে  টোল নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আর ইজারাদার যদি ইজারার শর্তের বাইরে কিছু করে থাকেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। ’