লংমার্চে হামলার প্রতিবাদে শাহবাগ মোড় অবরোধ

লংমার্চে হামলার প্রতিবাদে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরারাজধানীর শাহবাগ থেকে নোয়াখালী যাওয়ার পথে ফেনীতে ধর্ষণবিরোধী লংমার্চে হামলার প্রতিবাদে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা৷ আজ বুধবার (২১ অক্টোবর) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এ অবরোধ কর্মসূচি সারাদেশে পালন করছেন তারা। এ সময় আন্দোলনকারীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।

অবরোধ কর্মসূচির আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে একটি সমাবেশ করেন অবরোধকারীরা। সমাবেশ শেষে কাঁটাবনের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাস্তা অবরোধ করেন তারা। এতে শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাব, বাংলামোটর ও মৎস‌্য ভবন এলাকার রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় শাহবাগে পুলিশের ২৫-৩০ জনের একটি টিমকে লাঠি-হেলমেট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

অবরোধ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টসহ আরও কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।

শাহবাগ মোড়ে পুলিশের অবস্থানগত ৫ অক্টোবর থেকে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে নয় দফা দাবিতে শাহবাগে গণজমায়েত কর্মসূচি শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর ১৬ অক্টোবর ঢাকা থেকে লংমার্চ নিয়ে নোয়াখালীতে গিয়ে সমাবেশ করে আবার ১৭ অক্টোবর ঢাকা ফেরেন তারা।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, ‘ধর্ষণবিরোধী লংমার্চ নিয়ে ফেনীতে গেলে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। সেই হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। ঢাকাতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন চলমান থাকবে।’

ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক রাগিব নাঈম বলেন, ‘যারা ধর্ষকদের লালন-পালন করে তারাই আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এর প্রতিবাদে আমাদের কর্মসূচি চলবে।’

১০ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এ রাষ্ট্র ধর্ষকদের নিরাপত্তা দেয়। ধর্ষকদের পক্ষে কথা বলে৷ আর যারা ধর্ষণের প্রতিবাদ করে তাদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগ দিয়ে হামলা চালায়। আমরা রাষ্ট্রের এ ধরনের চরিত্রের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের আমরা রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেছি। তারা আমাদের কথা শোনেননি। তাদের অবরোধের জন্য যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।’