বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের এ সংক্রান্ত রায় প্রকাশিত হয়।
এ মামলায় আদালতে বাদীপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। বিবাদীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
এর আগে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১২ সালে বরিশাল শহরের ঝাউতলা এলাকায় প্রায় শতবর্ষী একটি পুকুর ভরাট ও দখল বন্ধে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। এ রিটের শুনানি নিয়ে একই সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রুল জারি করে আদালত স্থিতাবস্থার আদেশ দেন।
পরবর্তীতে রুল শুনানিতে অ্যাডেভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতকে বলেন, পরিবেশ আইন-১৯৯৫ ও জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ এর বিধান অনুসারে যে কোনও জলাশয় ভরাট নিষিদ্ধ এবং ব্যক্তিগত পুকুর হলেও তা জলাধারের সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তা ভরাট করা যাবে না। তখন বিবাদীপক্ষের আইনজীবী বলেছিলেন যে, পুকুরটি ব্যক্তিগত মালিকাধীন এবং মহানগরের মাস্টারপ্ল্যান অন্তর্ভুক্ত নয়, সুতরাং আইনটি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আর বরিশালের দেওয়ানি আদালতে এ সংক্রান্ত মূল মামলা চলমান আছে বিধায় এ রিট পিটিশনটি রক্ষণীয় নয়।
পরে আইনের ব্যাখ্যা স্পষ্ট করার জন্য আদালত তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগীর বক্তব্য শোনেন।
শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত গত ৫ মার্চ রায় দেন। রায়ে রুল যথাযথ করেন এবং পুকুরটির সীমানা বেআইনিভাবে অতিক্রম ও মাটিদ্বারা ভরাট করা থেকে বিরত থাকা এবং পুকুরটি রীতিমতো সংস্কার ও নিরাপদ পানি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।