প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এএফএস পুরস্কার পেলেন রাফায়েত চৌধুরী

তরুণ বিশ্ব নাগরিকদের জন্য প্রবর্তিত এএফএস পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের ২৪ বছর বয়সী পরিবেশবাদী ও সামাজিক উদ্যোক্তা শাহ রাফায়েত চৌধুরী। উন্নয়ন খাতে অসামান্য অবদান রাখায় বিশ্বের হাজার হাজার তরুণদের মধ্য থেকে এই পুরস্কারের জন্য তাকে মনোনীত করা হয়েছে। রাফায়েত বাংলাদেশের সুপরিচিত সামাজিক ব্যবসায়িক উদ্যোগ ফুটস্টেপস বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এবং সহ প্রতিষ্ঠাতা।শাহ রাফায়েত চৌধুরী

২০১৯ সাল থেকে এএফএস পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। এর প্রবক্তা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) এএফএস ইন্টারকালচারাল প্রোগ্রামস। এনজিওটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলায় মানুষের জ্ঞান, দক্ষতা এবং বোঝাপড়া উন্নয়নে আন্তসাংস্কৃতিক শিক্ষার সুযোগ প্রদান করে থাকে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতির জন্য প্রতিবছর সারা বিশ্ব থেকে এক জন তরুণকে স্বীকৃতি দেয় সংস্থাটি। এবছরে সেই স্বীকৃতি পেয়েছেন শাহ রাফায়েত চৌধুরী।

২৩ অক্টোবর এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এবছরের এএফএস পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে এএফএস, ইউনেস্কো এবং বিভিন্ন দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মাত্র ১৭ বছর বয়সে ২০১৩ সালে ফুটস্টেপস বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন শাহ রাফায়েত চৌধুরী। এর লক্ষ্য ছিলো এমন সব সামাজিক উদ্যোগের পরিকল্পনা করা যেগুলো কেবল বিদ্যমান চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে না বরং ত্রাণ নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশে টেকসই ও প্রাণোচ্ছ্বল সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৬টি জেলার এক লাখেরও বেশি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছে ফুটস্টেপস। এসব মানুষের জন্য নিরাপদ খাবার পানি, দুর্যোগ মোকাবিলা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্য কর্মসূচির ব্যবস্থা করেছে সংস্থাটি।

এএফএস পুরস্কারের আর্থিক মূল্য এক লাখ মার্কিন ডলার। এই অর্থ দিয়ে ফুটস্টেপস’র অন্যতম কর্মসূচি তৃষ্ণার আওতা সম্প্রসারণ করা হবে। নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করছে সংস্থাটি।

এর আগে এ বছরের জুলাইতে মর্যাদাপূর্ণ ডায়ানা পুরস্কার লাভ করেন শাহ রাফায়েত চৌধুরী। ফুটস্টেপস-এ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ওই পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া ২০১৮ সালে ইউরোপিয়ান কমিশনের মনোনীত ১৬ জন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ নেতার এক জন ছিলেন তিনি। ওই বছরের ডিসেম্বরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ইনভায়রনমেন্টাল ইকোনোমিকস অ্যান্ড পলিসি থেকে তিনি ডিগ্রি শেষ করেন। তারপর বাংলাদেশে ফিরে এসে ফুটস্টেপস বাংলাদেশে পূর্ণ সময় দিয়ে আসছেন তিনি।