ডিবি প্রধান হাফিজ আক্তার বলেন, ‘চলতি মাসে আমরা জাল টাকা তৈরির তিনটি চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছি। তাদের দেওয়া তথ্য মতে গত ২৩ অক্টোবর রাজধানীর কোতোয়ালি আদাবর থানাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৫৮ লাখ ৭০ হাজার জাল টাকা, ১১৩টি জাল ডলার ও জাল তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ছয় জনকে আটক করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘এই পুরো চক্রের মাস্টারমাইন্ড কাজী মাসুদ পারভেজ। মাসুদ পারভেজ ছাড়াও এ চক্রের মোহাম্মদ মামুন, শিমু, রুহুল আলম, সোহেল রানা, নাজমুল হককে গ্রেফতার করা হয়।’
ডিবি প্রধান বলেন, ‘এই চাক্রের মাস্টারমাইন্ড কাজী মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে এর আগেও গ্রেফতার হয়েছে। বারবার গ্রেফতার হয়ে বের হয়ে এসেছে। আমরা তার বিরুদ্ধে স্পেশাল অ্যাক্টে মামলা করবো যেন সে সহজে বের হয়ে আসতে না পারে।’
হাফিজ আক্তার বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা পাঁচ-ছয় বছর ধরে পরস্পরের যোগসাজশে জাল নোট প্রস্তুত করে খুচরা ও পাইকারি দরে বিক্রি করছে। তারা বড় কোনও উৎসব, যেমন ঈদ, দুর্গাপূজা ইত্যাদি অনুষ্ঠানকে টার্গেট করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে জাল টাকা সরবরাহ করে এবং বিক্রি করে।’
ডিবি কর্মকর্তা জানান, এক লাখ টাকার জাল নোট তারা ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।
অভিযানে তাদের কাছে থেকে জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম হিসেবে একটি ল্যাপটপ, দুটি স্ক্যানার, একটি লেমিনেটর, দুটি প্রিন্টার, ১২টি ট্রেসিং প্লেট, ৫ রিম জাল টাকা ছাপানোর কাগজ জব্দ করা হয়।