বার্মিজ জাতীয়তাবাদের নেতিবাচক প্রভাবই রোহিঙ্গা সংকটের কারণ

1সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেছেন, বার্মিজ জাতীয়তাবাদের নেতিবাচক প্রভাবই রোহিঙ্গা সংকটের অন্যতম কারণ। ১৯৮২ সালে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব আইনের কারণেই রোহিঙ্গা সংকট আরও ঘনীভূত হয়। হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) অনলাইনে আয়োজিত মানবাধিকার সম্মেলনে শনিবার (২৪ অক্টোবর) তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ কোনও পক্ষ নয়। এখানে পক্ষ-বিপক্ষ হলো মিয়ানমার সরকার ও রোহিঙ্গারা। তাই রোহিঙ্গাদের কণ্ঠকে সামনে রেখে কূটনৈতিক সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে যেন বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে সম্প্রীতি বিনষ্ট না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
সংগঠনটির উপদেষ্টা মো. নূর খান বলেন, সম্প্রতি রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি যাতে বন্ধ হয় সেদিকে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ভাসানচর কোন সমাধান হতে পারে না। রোহিঙ্গাদের যতটা সম্ভব সীমান্তের কাছাকাছি রাখা উচিৎ। যাতে নিজেদের ভূখণ্ড দেখে তাদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ বৃদ্ধি পায়।
সম্মেলনের অপর সেশনে ‘লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার কারণ ও তা বন্ধের উপায়’ শিরোনামে বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জেবউননেছা। তিনি বলেন, ‘ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান, নারী অধিকার আইন, সংবিধানে নারীর সমান অধিকার ও মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন কাজ করলেও নারীরা এর সুফল ভোগ করতে পারছে না। এর জন্য আমাদের প্রত্যেকের নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও ব্যক্তি সচেতনতার ওপর গুরুত্ব বাড়াতে হবে। আমাদের এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যে, নারীরাও মানুষ এবং তারা সমাজের সমান অংশীদার।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টারের মহাপরিচালক আবুল হাসিব খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান, সংগঠনটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাদা আল আমিন কবির ও প্রধান নির্বাহী ইজাজুল ইসলাম ও মানবাধিকার কর্মী আসিফ মুনীর।