‘এসডিজি অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করতে হবে’

প্রজ্ঞা

প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন করতে হলে এখন থেকেই তামাকের ব্যবহার কমানোর বিষয়ে জোরালো উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিক। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও এ উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি বলেও জানান তিনি। 

২৮ (অক্টোবর) তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা এবং এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে তুলে ধরতে তামাকবিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এসব কথা বলেন।

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ যে কাজ অব্যাহত রেখেছে, তাতে আমি আশাবাদী। তামাকের ন্যায় বিষাক্ত দ্রব্য গ্রহণ থেকে জনগণকে দূরে রাখা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৩  অর্জনে বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কিছু সংশোধন ও সংযোজন প্রয়োজন বলে মনে করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনও আইনের কঠোর প্রয়োগের ওপর যেমন অভিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ভর করে, ঠিক তেমনই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সময়োচিত সংশোধন ও সংযোজন করে তা কঠোরভাবে প্রয়োগের দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

এ সময় প্রজ্ঞা’র পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের বিষয়গুলো যেমন— ১. গণপরিবহন ও রেস্তোরাঁ  শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা, ২. বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, ৩. তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, ৪. বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা এবং প্যাকেটবিহীন জর্দা-গুল বিক্রয় নিষিদ্ধ করা, ৫. ই-সিগারেটের মতো ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট আমদানি ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করা, এবং ৬. সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি এবং প্লেইন প্যাকেজিং প্রবর্তনের জন্য সবধরনের তামাকজাত দ্রব্যের প্রমিত মোড়ক প্রচলন করা প্রভৃতি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়।