মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে কায়সারের রিভিউ আবেদন

সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারএকাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পর আপিল বিভাগের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা ও সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় কায়সারের পক্ষে রিভিউ আবেদনটি করা হয় বলে জানান ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমীন।

তানভীর আহমেদ আল আমীন বলেন, ‘রিভিউ আবেদনে মোট ১৮টি গ্রাউন্ডে কায়সারের মৃত্যুদণ্ডের সাজা থেকে খালাস চাওয়া হয়েছে।’

এর আগে গত ২২ অক্টোবর সৈয়দ কায়সারের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করতে পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ১৪ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা ও সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। সেদিন

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে আসামিরপক্ষে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

প্রসঙ্গত, জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার খালাস চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। আপিলে ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিলের পাশাপাশি তাকে বেকসুর খালাস দেয়ার আবেদন জানানো হয়।

২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আদালত কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন।

গণহত্যার একটি, হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি ও ধর্ষণের দুটিসহ মোট ১৬টি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়। এর মধ্যে  ট্রাইব্যুনালের রায়ে ১৪টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া ১, ৯, ১৩ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বরে সাত বছর ও ১১ নম্বরে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ অভিযোগগুলোতে কোনও সাজা দেওয়া হয়নি তাকে।

পরে ২০১৫ সালের ১৯ জানিুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি খালাস চেয়ে আপিল করেন। আপিলে খালাসের আরজিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয় এবং ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করা হয়।