ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, তারা দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে একে একে কাঁটাবন, বংশাল, মতিঝিল, শাজাহানপুর, গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার ও প্রেসক্লাব এলাকায় বাসে আগুন দেওয়ার খবর জানতে পারেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পুলিশের মতিঝিল জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, মতিঝিল ও পল্টনে মোট চারটি বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছিল। এর মধ্যে একটি ভ্যাট/ট্যাক্স অফিসের স্টাফ বাস, একটি অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাস ছিল। আর পল্টনে একটি পাবলিক বাস ও আরেকটি বিআরটিসির গাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
তিনি জানান, বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। আমরা সন্দেহভাজন হিসেবে কয়েজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। হঠাৎ করে কারা কেন বাসে আগুন দিলো, আমরা তার কারণ ও জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, নাশকতার উদ্দেশ্যে একযোগে বাসগুলোতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আমরা জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছি।’
পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, ‘তার এলাকার মধ্যে বংশালে দুপুর আড়াইটার দিকে দিশারী পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে কারা আগুন দিয়েছে তাদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ঢাকা-১৮ আসনে সংসদীয় উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী কোনও পক্ষ নাশকতার উদ্দেশ্যে একযোগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসে আগুন দিয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। নাশকতাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য ইতোমধ্যে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটও কাজ করছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি ও টহল পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ছবি: নাসিরুল ইসলাম