গোল্ডেন মনিরের মামলা ডিবিতে হস্তান্তর

র‌্যাবের হেফাজতে মনিরুল ইসলাম ওরফে গোল্ডেন মনিরঅস্ত্র, মাদক ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কারসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি মামলা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলা ডিবি পুলিশের গুলশান বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম।

এর আগে গত শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোল্ডেন মনিরের বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকা, চার লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ, একটি বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র‍্যাব।

এ ঘটনায় রবিবার (২২ নভেম্বর) সকালে মনিরকে থানায় হস্তান্তর করার পাশাপাশি মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে র‍্যাব।

পরে পুলিশ তাকে আদালতে তুলে প্রতিটি মামলায় সাত দিন করে রিমান্ড চায়। মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডের দ্বিতীয় দিন চলাকালীন সেই মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হলো।

অভিযানের দিন র‍্যাব জানায়, নব্বইয়ের দশকে রাজধানীর গাউসিয়া মার্কেটে কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী ছিলেন মনির। এরপর মৌচাক মার্কেটে ক্রোকারিজের দোকানে চাকরি নেন। সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে যুক্ত হন বিমানবন্দর কেন্দ্রিক লাগেজ পার্টি ও স্বর্ণের চোরাচালানে। পরিচিতি পান ‘গোল্ডেন মনির’ নামে।

র‍্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, বিক্রয়কর্মী থেকে লাগেজ পার্টিতে যোগ দেওয়ার পর মনির শুরুতে কর ফাঁকি দিয়ে কাপড়, কসমেটিক, ইলেকট্রনিকস পণ্য, কম্পিউটার সামগ্রীসহ বিভিন্ন মালামাল আনা-নেওয়া করতেন। একপর্যায়ে আকাশপথে স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন।

স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার পর কবজায় নেন রাজউক। কারসাজির মাধ্যমে মালিক হন একের পর এক প্লটের। রাজধানীতে তার নামে বেনামে ২০০টির মতো প্লট রয়েছে।