অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে ডিএনসিসির অভিযান

 

৬৬রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সলিমউল্লাহ রোডে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। একইসঙ্গে উত্তরা এলাকায় মাস্ক  না পরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) দিনভর এ অভিযান পরিচালিত হয়। মোহাম্মদপুরে সলিমউল্লাহ রোডে অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৫) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন। উত্তরায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৬) সাজিয়া আফরিন ও মহাখালী বাস স্ট্যান্ড এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৩) আবদুল্লাহ আল বাকী এ অভিযান পরিচালনা করেন। সন্ধ্যায় ডিএনসিসি থেকে পাঠানো  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযানে মোহাম্মদপুরে সলিমউল্লাহ রোডের ৭/৫ হোল্ডিংয়ের সামনে ফুটপাতে নির্মিত একটি স্টিল র‌্যাম্প অপসারণ করা হয়। বাসাটির মালিককে ইতোপূর্বে দুইবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। অবশেষে আজ এটি অপসারণ করা হয়। এছাড়া মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের তিনটি দোকানের বাড়তি শাটার অপসারণ করা হয়েছে। এসময় প্রায় ২০টি কংক্রিটের র‌্যাম্প অপসারণ করা হয়। এছাড়া শহীদ পার্ক খেলার মাঠের একটি গেটে নির্মিত আসবাবপত্রের দোকান অপসারণ করে গেটটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির উত্তরা ১১ এবং ১২ নম্বর সেক্টরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সোনারগাঁও জনপথ এবং শাহ মখদুম রোডে করোনাভাইরাসের প্রকোপ মোকাবিলায় ভ্রাম্যামাণ আদালত বসানো হয়। এ সময় পথচারী ফুটপাত, দোকান এবং গণপরিবহনে চলাচলকারী, চালক ও যাত্রীদের মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সচেতন করা হয়। পাশাপাশি ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ৭০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৮টি মামলায় এক হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

একই সময়ে  মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে মহাখালী বাস স্ট্যান্ড এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৩) আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় পথচারী ফুটপাত, দোকান এবং গণপরিবহনে চলাচলকারী, চালক ও যাত্রীদের মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সচেতন করা হয়। পাশাপাশি ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ৫০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৪ ব্যক্তিকে ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়।