রবিবার (২৯ নভেম্বর) সিটিটিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে সিটিটিসির কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন। সিটিটিসি জানায়, ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর দারুসসালাম থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মো. ওয়ালিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার ব্যক্তিরা নব্য জেএমবির নেতৃস্থানীয় সদস্য। তারা জেএমবি নেতা ও গুলশান হলি আর্টিজান মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি সোহেল মাহফুজের মাধ্যমে নব্য জেএমবির দীক্ষা নেয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তারা ২০১৭ সালের শেষের দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের পাশে মহানন্দা নদীর তীরে গ্রেফতার বাদরুল ইসলাম এবং ভারতে আটক মহসিনের মাধ্যমে বায়াত গ্রহণ করে নব্য জেএমবিতে যোগদান করেছিল। দারুসসালাম থানার মামলায় ইতোপূর্বে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি। এ নিয়ে এই মামলায় মোট সাত জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এছাড়া মামলার অপর দুই আসামি ২০১৯ সালের জুন মাসে কলকাতার হাওড়া জেলা হতে ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে সে দেশের কারাগারে রয়েছে।
সিটিটিসি সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেফতার জঙ্গিদের অবৈধ পথে ভারতে যাতায়াত ছিল। একই মতাদর্শী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা ও উত্তর প্রদেশের প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীদের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ ছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর প্রদেশের কিছু এলাকা নিয়ে একজন যোগ্য আমিরের নেতৃত্বে ‘খিলাফতে হিন্দ’ গড়ে তোলা।