মাকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা, সৎছেলের স্বীকারোক্তি

আদালতরাজধানীর কাফরুলে সীমা (৩১) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার পর আগুন দিয়ে তার লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় সীমার সৎছেলে এসএম আশিকুর রহমান নাহিদকে গ্রেফতার করা হলে আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসী আসামি নাহিদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন তিনি।

একইসঙ্গে এ ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান। এই পাঁচ আসামি হলো—জাকিয়া সুলতানা আইরিন (২২), আসেক উল্লা (৫০), রোকেয়া বেগম (৪০), শাহজাহান শিকদার (৫০) ও সাকিব (২০)।

আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সারিফুজ্জামান আসামিদের আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামি আশিকুর রহমান নাহিদ স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক নাহিদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলায় গ্রেফতার আরও ৫ আসামিকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, রবিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল আনুমানিক ১১টায় কাফরুল থানার পূর্ব বাইশটেক এলাকার একটি বাসা থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে প্রথমে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ৮টার দিকে সীমার মরদেহ ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। সীমার আনুমানিক বয়স ৩১। বিছানার ওপরে উপুড় অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। তার পিঠে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। তার শরীরের পেছনের দিকের অংশ পোড়া ছিল।

জানা যায়, নিহত সীমার বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায়। তার স্বামীর নাম শাজাহান সিকদার। এটি ছিল সীমার দ্বিতীয় বিয়ে। তার এই বিয়ে হয়েছিল ৩-৪ মাস আগে। সীমার লাশ উদ্ধারের পর তার ভাই বাদী হয়ে কাফরুল থানায়  হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন:

কাফরুলে ছুরিকাঘাত ও পোড়া অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার