আগামী বর্ষার আগেই সিএস নকশা অনুযায়ী খালের সীমানা নির্ধারণ করা হবে

ঢাকার খালগুলো সীমানা নির্ধারণ করা হচ্ছে

সিএস খতিয়ান দেখে রাজধানী ঢাকার খালগুলো সীমানা নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, ‘আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই নিজ অর্থায়নেই আমরা এই খালগুলো দখলমুক্ত করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবো।’

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর ত্রিমুহনী জিরানী খাল ও শ্যামপুর খালের চলমান বর্জ্য অপসারণ এবং  সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন,  ‘ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতার একটি মূল কারণ হলো, ঢাকার মধ্য দিয়ে যেসব খাল প্রবাহিত সেই খালগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে গেছে। এগুলো অবৈধ ভূমি দস্যুরা যেমনি দখল করেছে তেমনি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার করা হয়নি।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মেয়র তাপস

মেয়র বলেন,  ‘আপনারা জানেন কিছুদিন আগেই আমাদের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর নেতৃত্বে সভার মাধ্যমে এই খালগুলো ঢাকা ওয়াসা থেকে সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হয়েছে। তাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় যে ১১টি খাল রয়েছে সেই খালগুলো পুনরুদ্ধার, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম আমরা আরম্ভ করেছি।’  

মেয়র বলেন, ‘আজ আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি এটাও কিন্তু খালের অংশ। এখানে বর্জ্য ফেলে খালটি ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এই পুরো বর্জ্যগুলো আমরা অপসারণ করবো। তাহলে আমরা খালের জলপ্রবাহ পুনরুদ্ধার করতে পারবো। খাল উদ্ধার হলে ঢাকার যেসব অংশ জলাবদ্ধতা হয় সেটা আর হবে না। আমরা আশাবাদী আগামী দুই বছরের মধ্যে এই প্রাথমিক কাজটি শেষ করতে পারলে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে যাবে। আমরা ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে ‍মুক্তি দিতে পারবো।’

নগরীর বক্সকালভার্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন বক্সকালভার্টগুলো অনেকদিন ধরে সঠিকভাবে পরিষ্কার  করা হয়নি। আমরা অচিরেই স্বল্প মেয়াদী কাজের অংশ হিসেবে সেগুলো পরিষ্কারের কাজ শুরু করবো। পরবর্তীতে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে এগুলোকে কী করা যায় তার আওতায় বিচার বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ নেবো।’