ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনে আর কোনও বাধা নেই

সুপ্রিম কোর্ট


আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। এর ফলে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠানে আর কোনও বাধা রইলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন।

এর আগে, আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিতের আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নিতকরণের পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন থাকায় গত ৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৫ নভেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।

পরে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দস জানিয়েছিলেন, একটি পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নিত করতে যা যা করা দরকার প্রশাসন তার সবই করেছে। এমনকি গত বছর ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) ১১৬ তম সভার প্রধান আলোচ্যসূচি ছিল ফরিদপুর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করা। ওই সভায় বিদ্যমান ফরিদপুর পৌরসভা এবং সম্প্রসারিত এলাকা নিয়ে ফরিদপুর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। তা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনের সেই তফসিল ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

গত ১৫ নভেম্বর ওই নির্বাচন স্থগিত চেয়ে পৌরসভার বর্ধিত এলাকার ভোটার মো. আতিয়ার রহমান একটি রিট দায়ের করেন। রিটে পৌরসভার নির্বাচন স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারির আরজি জানানো হয়েছিল।