লিলিয়ানা ফনস, কনসার্ন বাংলাদেশ, ইউকে এইড, সিবিএম বাংলাদেশ এর সহায়তায় ডিআরআরএ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর করোনাকালীন তাদের দুর্দশা, নানান সমস্যা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী। সেই হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা এক কোটি ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬৮ জন। এর মধ্যে আনুমানিক ১৬ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নিবন্ধিত হয়ে সরকারের ভাতা পেয়ে আসছেন। চিত্রটি বলে দেয় এখনও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর একটা মোটা দাগের অংশ নিবন্ধন ও সেবাপ্রাপ্তির বাইরে। সরকার বিভিন্ন সেক্টরে প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে। করোনার মহাসংকট কাটিয়ে উঠতে নানান পরিকল্পনাও গৃহীত হয়েছে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য সুনির্দিষ্টভাবে তেমন কোনও প্রণোদনা বা পরিকল্পনা সম্ভবত এখনও গ্রহণ হয়নি। তাদের সক্ষমতা, দক্ষতাকে কীভাবে কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থান ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায় সেই বিষয়ের ওপর সরকার, বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলে ডিআরআরএ, কনসার্ন বাংলাদেশ, ইউকে এইড ও সিবিএম মনে করছে।
ডিআরআরএ’র নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে যে টেকসই উন্নয়নের কথা ভাবা হচ্ছে তা আদতে কতটা সম্ভব, ভেবে দেখা দরকার। টেকসই উন্নয়নের জন্য সুরক্ষিত জীবনযাপনের মূলধারায় এই বিশেষ জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে এগিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে করোনাকালীন সংকট থেকে উত্তরণের জন্য এই বিশেষ জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সহায়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা দরকার।’
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, কনসার্ন বাংলাদেশের ডেপুটি টিম লিডার মেরী রশিদ, দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক লোটন একরাম এবং ডিআরআরএ’র নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কবি কামরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে কয়েকজনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তাদের দুর্দশা ও কষ্টের কথাও তুলে ধরেন।