‘প্রাণীর ভাস্কর্য-মূর্তি নির্মাণ, সংরক্ষণ হারাম’

ফতোয়ামানুষ ও অন্য যে কোনও প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণ, সংরক্ষণ হারাম ও গুনাহের কাজ বলে ফতোয়া দিয়েছেন আলেমরা। কোরআন ও হাদিসের আলোকে এ ফতোয়া দেওয়া হয়েছে বলেন জানান তারা। পূজার উদ্দেশ্যে না হলেও ভাস্কর্য নিমার্ণ করা যাবে না।  এ ফতোয়া দিয়েছেন ৫ জন আলেম। আর  এ ফতোয়া সমর্থন করে সাক্ষর করেছেন দেশের ৯৫ জন আলেম। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে ফতোয়ার বিষয়টি জানানো হয়।একই সঙ্গে সরকারকে সকল প্রাণির ভাস্কর্য ও মূর্তি অপসারণ করার আহবান জানিয়েছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে ৫ জন আলেম ফতোয়াটি পাঠ করেন কেন্দ্রীয় দারুল ইফতা বাংলাদেশ বসুন্ধরার প্রধান মুফতি এনামুল হক। ‍তিনি ছাড়াও ফতোয়াটি যৌথভাবে দিয়েছেন মারকাযুদ দাওয়া আল ইসলামিয়ার আমীনুত তালীম মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মালেক, জামিয়া সুবহানিয়ারর প্রধান মুফতি মাওলানা মহিউদ্দিন মাসুম, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার শিক্ষক মাওলানা তাউহীদুল ইসলাম।

মুফতি এনামুল হক বলেন,  মানুষ ও অন্য যে কোনও প্রাণীর ভাস্কর্য আর মূর্তির মাঝে কোন শরীয়তকর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে কোন পার্থক্য নেই। পূজার উদ্দেশ্যে না হলেও তা সন্দেহাতীত ভাবে নাজায়েজ ও স্পষ্টভাবে হারাম। ইসলামের সুনির্দিষ্ট বিধানকে পাশ কাটিয়ে প্রাণীর মূর্তি ও ভাস্ক মাঝে পার্থক্য করে প্রাণীর ভাস্কর্য বৈধ বলা, সত্য গোপন করা এবং কোরআন ও সুন্নাহের বিধান অমান্য করার নামান্তর।