কলাবাগানে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা: দিহানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

রাজধানীর কলাবাগানে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ইফতেখার ফারদিন দিহান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালতের আদেশে তাকে  কারাগারে পাঠানো হয়।

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে দিহানকে কারাগারে পাঠানোর জন্য আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি দিহানকে আদালতে হাজির করে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আবেদন করেন। পরে দিহান ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ফারদিন ইফতেখার দিহান বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে স্কুলছাত্রীকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর ৬৩/৪, লেক সার্কাস ডলফিন গলি, পান্থপথ, কলাবাগানের ফাঁকা বাসায় মেয়েটিকে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় প্রচুর রক্তক্ষরণে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়ে। তখন বিবাদী দিহান ধর্ষণের বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য মেয়েটিকে নিয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যায়। সেখানে ভিকটিমের মৃত্যু হয়। সংবাদ পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত হাসপাতালে যায়।

খবর পেয়ে মেয়েটির তিন বন্ধু হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাদেরও আটক করে। পরে চার জনকে কলাবাগান থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ পরে স্কুলছাত্রীর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

পুলিশের এসি আবুল হাসান বলেন, ‘মেয়েটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছে।’

ছবি: নাসিরুল ইসলাম

আরও পড়ুন-

কলাবাগানে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামি দিহান আদালতে

কলাবাগানে কিশোরী হত্যা, গ্রেফতার ৩

রাজধানীতে জন্মদিনে ডেকে কিশোরীকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ