লিজ নেওয়া জমি সাব-লিজ দেওয়া যাবে না। জমির শ্রেণি, আকার, প্রকারও কোনোরূপ পরিবর্তন করা যাবে না। এই মর্মে একটি পরিপত্র জারি করেছে ভুমি মন্ত্রণালয়। সোমবার (১১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘লিজ নেওয়া জমি সাব-লিজ দেওয়া যাবে না। জমির শ্রেণি, আকার, প্রকারও কোনোরূপ পরিবর্তন করা যাবে না’ মর্মে অনুচ্ছেদ যুক্ত করে গত ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ জারিকৃ করা ‘অর্পিত সম্পত্তির অস্থায়ী ইজারার সালামির হার পুনর্নির্ধারণ’ বিষয়ে পরিপত্রের কতিপয় অংশ সংশোধন করে ৬ জানুয়ারি (২০২১) আরেকটি পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
২০১৯ সালে জারি করা পরিপত্রে উল্লিখিত অনুচ্ছেদ-৫ প্রতিস্থাপনের কথাও বলা হয়েছে সংশোধনী পরিপত্রে। প্রতিস্থাপিত সংশোধিত অনুচ্ছেদটি হচ্ছে— ‘অস্থায়ীভাবে ইজারাকৃত প্রত্যর্পণযোগ্য অর্পিত সম্পত্তির মেরামতের ক্ষেত্রে ইজারা গ্রহীতা জেলা প্রশাসক, কিংবা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতিক্রমে অবকাঠামোর কোনোরূপ পরিবর্তন করা যাবে না। অথবা কোনও নতুন স্থাপনা নির্মাণ না করে নিজ ব্যয়ে বর্তমান স্থাপনার প্রয়োজনীয় মেরামত কাজ করতে পারবেন। তবে মেরামত বাবদ সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির বার্ষিক ইজারার টাকার সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।’
আগের পরিপত্রের সঙ্গে দুটি নতুন অনুচ্ছেদ সংযুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে সংশোধনীতে। অনুচ্ছেদগুলো হচ্ছে— ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপযুক্ত পরিপত্র মোতাবেক চালুকৃত অর্পিত বাড়ি ঘরের সালামি বর্গফুট নির্ধারণের হার বহাল থাকবে। তবে বাড়ি ঘরের অবস্থা ও অবস্থান বিবেচনা করে নির্ধারিত ভাড়ার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কম-বেশি করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের সুনির্দিষ্ট যৌক্তিকতা, ব্যাখ্যাসহ সুপারিশ বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে এবং ভূমি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে। ‘খালি জমি ইজারা নিয়ে জেলা প্রশাসকের অনুমোদনক্রমে নিজ খরচে ঘর উঠালে সে ক্ষেত্রে উক্ত খালি জমির নির্ধারিত ইজারা মূল্যের সঙ্গে অবকাঠামোর জন্য নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত হিসেবে আরও ২০ শতাংশ ইজারা গ্রহীতা কর্তৃক পরিশোধ করতে হবে।’
সংশোধনীতে ২০১৯ সালে জারি করা পরিপত্রের অনুচ্ছেদ ৬, ৭ এবং ৮ যথারীতি বহাল থাকার কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, লিজ-গ্রহীতা এবং জেলা প্রশাসকদের মতামতের ভিত্তিতে সালামির অর্থ আদায়যোগ্য এবং জনবান্ধব করার লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় অর্পিত সম্পত্তির বিষয়ে কতিপয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর ভিত্তিতে ভূমি মন্ত্রণালয় গত ৩ ডিসেম্বর (২০১৯) ‘অর্পিত সম্পত্তির অস্থায়ী ভিত্তিতে ইজারার সালামির হার পুনর্নির্ধারণ’ বিষয়ক পরিপত্র জারি করে। জনস্বার্থে উক্ত পরিপত্রের কিছু সংশোধন করে গত ৬ জানুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয় ‘অর্পিত সম্পত্তির অস্থায়ী ইজারার সালামির হার পুনর্নির্ধারণে কতিপয় সংশোধন’ বিষয়ক সংশোধনী পরিপত্রটি জারি করে।