বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এমপিওভুক্তির দাবি

বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় মানসম্পন্ন বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোকে এমপিওভুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সমিতির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বার্ষিক সাধারণ সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মানসম্পন্ন বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোকে মুজিবর্ষেই ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায়’ অন্তর্ভুক্তির  দাবি করা হয়েছে।

বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এমপিও আন্দোলন ফোরামের মুখপাত্র অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলো প্রতিষ্ঠার প্রায় তিন দশক অতিক্রম করতে চলছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রায় ৭৫ শতাংশের প্রশিক্ষণ বেসরকারি টিটি কলেজ দিয়ে আসছে। অথচ দীর্ঘ ২৮ বছর যাবৎ বেসরকারি টিটি কলেজকে ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায়’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কর্মরত শিক্ষকদের দেশ-বিদেশের ট্রেনিংয়ের আওতায় আনা হয়নি। যুগ যুগ ধরে বেসরকারি টিটিসিকে পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অথচ আমরা শিক্ষকদেরও শিক্ষক। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের এমপিও হয়ে যাচ্ছে, আর আমাদেরকে এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে, যা দুঃখজনক ও অপমানজনক।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের শিক্ষকদের আর্থিক প্রণোদনায় অন্তর্ভুক্ত করা হলেও এ যাবত কোনও বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। গত বছর ১৭ মার্চ থেকে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের সকল প্রকার আয়ের উৎসও বন্ধ রয়েছে। ফলে এই সেক্টরে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের জীবন-জীবিকা চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে।’

বিজ্ঞপিতে বলা হয়, বার্ষিক সাধারণ সভায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হোসেন ২০২০ সালে সমিতির আয়-ব্যয়ের বার্ষিক রিপোর্ট ও ২০২১ সালের বার্ষিক পরিকল্পনা পেশ করেন।