পৌষ সংক্রান্তির ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠেছে পুরান ঢাকাবাসী। তাদের কাছে এই উৎসবের নাম ‘সাকরাইন’। সাকরাইনের আজ দ্বিতীয় দিনেও উৎসবে কোনও ভাটা পড়েনি। আলোকসজ্জা, আতশবাজি আর গানবাজনা খানিকটা কম হলেও পুরান ঢাকার আকাশে আজও উড়েছে রঙিন ঘুড়ি। প্রতিযোগিতা চলছে ঘুড়ি কেটে ফেলার। আনন্দ আয়োজনও চলছে।
স্থানীয়রা বলছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে পুরান ঢাকার বাড়িতে বাড়িতে ‘সাকরাইন’ উৎসব উপলক্ষে ঘুড়ি ওড়ানো ছাড়াও আছে নানা আয়োজন।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সরেজমিন দেখা যায়, শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, গোয়ালনগর, লক্ষ্মীবাজার, সূত্রাপুর, গেণ্ডারিয়া, লালবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় আজও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। প্রায় প্রতিটি বাড়ির ছাদ এখনও সাজানো আছে, গান বাজছে আর আকাশে ঘুড়ি উড়ছে। কে কার ঘুড়ি কাটতে পেরেছে সেই প্রতিযোগিতা চলছে।
পুরান ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা মুসলিম আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই উৎসবকে মাথায় রেখে টানা এক সপ্তাহ পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর অধিকাংশ গলিতে ও খোলা ছাদে সুতা মাঞ্জা দেওয়ার ধুম পড়ে। পিঠা-পুলিসহ নানা ধরনের মিষ্টির আয়োজন হয়। গতকাল মূল উৎসব থাকলেও এটা চলবে আরও বেশ কয়েক দিন। যেমনটা প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল আগে থেকেই।’
অনেক অনেক বছর আগে জমিদার বাড়িগুলোতে ঘুড়ির উৎসব হতো। এখন সেই উৎসবের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তবে জৌলুসটা একটুও কমেনি; বরং বেড়েছে। এখনকার তরুণ প্রজন্ম সাদরে গ্রহণ করেছে সেই উৎসব। এই উৎসব দীর্ঘদিন টিকে থাকুক এটাই প্রত্যাশা পুরান ঢাকাবাসীর।