ব্যাংক এশিয়ার নারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ব্যাংক এশিয়ার গ্রাহকদের প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং আরও  এককোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে এক নারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন উপ-পরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক।

মামলার একমাত্র আসামি  ব্যাংক এশিয়ার দিলকুশা শাখার সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার (বর্তমানে চাকরিচ্যুত) সিলভিয়া আক্তার রিনি (৪৩)।

দুদক সূত্র জানায়, ব্যাংক এশিয়ার এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এফডিআর গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করেন দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক। সম্প্রতি তিনি কমিশনে অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর দুদক থেকে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সিলভিয়া আক্তার রিনি দিলকুশা শাখায় ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি সঞ্চয়পত্রের ৪৫৪টি লেনদেনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সুদের মোট ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৯৯ হাজার ৫২০ টাকা নগদ ও হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। এরমধ্যে ৪৩৭টি নগদ লেনদেনের মাধ্যমে ৩ কোটি ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০ টাকা ও ১৭টি অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফারের মাধ্যমে এক কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার ৬০০ টাকা অতিরিক্ত তুলে নেন। এরমধ্যে অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফারের টাকা দিলকুশা শাখা আদায় করতে সক্ষম হয়। কিন্তু নগদ তুলে নেওয়া অর্থ আদায় করতে পারেনি।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, হিসাব ও লেনদেনের অর্থ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সমুদয় অর্থ সিলভিয়া আক্তার রিনি একাই আত্মসাৎ করেন। বিল-ভাউচার অনুমোদনকারী হিসেবে ১২ জন কর্মকর্তা স্বাক্ষর করলেও প্রস্তুতকারী ও অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। ২০১৪ সালের থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আত্মসাতের টাকায় সিলভিয়া মোট আটবার বিদেশ সফর করেন। জিজ্ঞাসাবাদকালে সিলভিয়া আক্তার রিনি এর কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।

দুদক আইন ও অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে