‘দেশে দক্ষ জনবল থাকলে বিদেশি জনবল নিয়োগ দেওয়া যাবে না’

দেশীয় দক্ষ জনবল থাকলে কোনওভাবেই তার বদলে বিদেশি জনবল নিয়োগ নয়-এমন নীতি ও তার প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। বিশেষ করে বিশেষ সুবিধার আওতায় বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অদক্ষ শ্রমিক আনা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে হবে।

এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিন আয়োজিত ‘ইপি টকস অন হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট: স্ট্যাটাস অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেনের উপস্থাপনায় আলোচনায় অংশ নেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়নমেন্টাল সায়েন্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেইন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব অপারেশন ড. মোহা. শের আলী, দীপন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদ মাহমুদ, স্যাপকন বিডির পরিচালক মোসাদ্দেক শহীদ লাইলাক ও ইপি কনন্ট্রিবিউটিং এডিটর খন্দকার আবদুল সালেক।

ওয়েবিনারে গোলাম সাব্বির সাত্তার চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা চালুসহ ৮ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিপুল ব্যয়ে ভবন বানালেও বিশ্বমানের ল্যাব বানাচ্ছে না। কার্যত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন মানসম্মত জনবল তৈরি করতে পারছে না। শিল্প, সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অংশীদারিত্ব সৃষ্টি করে চাহিদামাফিক জনবল তৈরির কাজে হাত দেওয়া না হলে এটা থেকে বেরিয়ে আসা যাবেনা।

মোহাম্মদ হোসেইন বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয় না থাকলে দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য একটি জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রয়েছে। বুয়েটসহ আমাদের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যারা আসছে তারা সরাসরি কাজ করতে সক্ষম হচ্ছে না। ফলে প্রযুক্তি সরবরাহকারীদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারপর কাছে আসতে হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন থেকে জয়েন ভেঞ্চারসহ যে কোনও চুক্তি করতে হলে সকল পর্যায়ে নিজস্ব জনবল ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বিদ্যুৎ খাতের ১৪টি প্রতিষ্ঠানেরই আলাদা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট জনবল উন্নয়নে কাজ করছে।

ড. মোহা. শের আলী বলেন, বর্তমানে চীন এবং ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্রে সাব ঠিকাদার হিসাবে কাজ করতে গিয়ে হাজার হাজার অদক্ষ শ্রমিক আনছে। আবার দক্ষ জনবলও আনা হচ্ছে এই ভিসার আওতায়। সরকারের উচিত অদক্ষ শ্রমিক আনা পুরোটা বন্ধ করা। আর দক্ষ লোকবল আসলে দেশীয় বিধান ও শ্রম আইন মেনে তাদের কাজের বিষয় নিশ্চিত করা।