রাজধানীতে স্ত্রী’র মামলায় আ. লীগের নেতা গ্রেফতার

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা এক মামলায় দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মাজাহারুল আনামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) তাকে দারুস সালাম এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন মাজাহারুল আনামের স্ত্রী ফিরোজা পারভীন। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলায় মাজাহারুল আনামসহ সাত জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন, কামরুল ইসলাম, মাকসুদ আনাম, মিলি, ফুয়াদ, সাগর সরকার ও নাজমা আক্তার মুন্নি।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে মাজাহারুল আনামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দারুস সালাম থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তে আসামিকে আদালতে হাজির করেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদন বিবেচনায় নিয়ে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

২০০৮ সালে মাজাহারুল আনামের সঙ্গে বিয়ে হয় ফিরোজা পারভীনের। তাদের ১১ বছর বয়সী এক ছেলেও আছে। ছেলেটি শারীরিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী।

মামলার এজাহারে ফিরোজা পারভীন অভিযোগ করেছেন, বিয়ের পর ব্যবসার কথা বলে মাজাহারুল আনাম  ফিরোজা পারভীনের বাবার পরিবারের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা এনেছিলেন। সম্প্রতি আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিলো।

তিনি অভিযোগ করেন, যৌতুকের জন্য গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ফিরোজা পারভীনকে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে ফিরোজা পারভীনের ভাই ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। আপসের উদ্দেশ্যে গত ২৫ জানুয়ারি মাজাহারুল আনামের বাসায় যান ফিরোজা। যৌতুকের টাকা না নিয়ে বাসায় ঢোকায় মাজাহারুল আনাম চুলের মুঠি ধরে ফিরোজাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারে এবং লাঠি দিয়েও আঘাত করে। এ সময় অন্য আসামিরাও মারধর করে বলে ফিরোজা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন।

ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।