বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখনই ১৫ শতাংশ আয়কর আদায় নয়

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায়ের বিষয়ে সরকারের দুটি প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি (লিভ টু আপিল) দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এ আপিলটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায়ে বিরত থাকতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল-ইসলাম, ফিদা এম কামাল এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন।

এর আগে ২০০৭ সালের ২৮ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অপরাপর বিশ্ববিদ্যালয়, যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নয়, তাদের উদ্ভূত আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর পুনর্নির্ধারণ করা হলো। ১ জুলাই থেকে এটা কার্যকর হবে।

এরপর ২০১০ সালের ১ জুলাই এনবিআরের আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বা কেবল তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদানে নিয়োজিত বেসরকারি কলেজের উদ্ভূত আয়ের ওপর প্রদেয় আয়করের হার হ্রাস করে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।

এরপর বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৪৬টি রিট দায়ের করা হয়। ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ৪৬টি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারের ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায়ের দুই প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে ওই দুই প্রজ্ঞাপন অনুসারে যে অর্থ আদায় করা হয়েছে, তা ফেরত দিতে এনবিআরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। সে লিভ টু আপিল শুনানির জন্য মঞ্জুর করলেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে অর্থ ফেরতের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করলেন। পাশাপাশি এ আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ১৫ শতাংশ আয়কর নেওয়া থেকে এনবিআরকে বিরত থাকতে বলেছেন আদালত।