ভাসানচরের সুপার শপে প্রতিদিন বিক্রি ৫০ হাজার টাকা

এক লাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য ভাসানচরে স্থাপনা তৈরি করেছে সরকার। ইতিমধ্যে ৭ হাজারের মতো রোহিঙ্গা স্থানান্তর করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আরও কয়েক হাজার রোহিঙ্গা স্থানান্তরিত হবে। ওই অল্প সংখ্যক রোহিঙ্গাদের বসতিতে বিভিন্ন পণ্যের দোকান গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে রয়েছে একটি সুপার শপ যেখানে খাদ্যসামগ্রী, থালা-বাসন, জুতা, দেশি-বিদেশি কসমেটিকস, এলপিজি গ্যাস থেকে শুরু বিদেশি মধু বা কাজু বাদামের মতো পণ্য বিক্রি হয়।

হেরা সুপার শপের বয়স প্রায় তিন মাস। দোকানের মালিক ভাসানচরের জামালউদ্দিন গাজি। যিনি পেশায় একজন কনট্রাকটর। বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে। দোকানে ৬ জন কর্মচারি রয়েছেন। 

ওই দোকানে আলাপ হয় মালিকের ভাগ্নের সঙ্গে। আলাপকালে তিনি জানান, মালিকের মেয়ে হেরার নামে নামকরণ হয়েছে দোকানের। দোকানের বেশিরভাগ সামগ্রী চৌমুহনী থেকে আনা হয়। বার্মিজ পণ্যের যোগান আসে চিটাগাং থেকে।

কীভাবে দোকান করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাসানচরে কনট্রাকটরি করেন গাজি। নেভির অনুমতি নিয়ে এই দোকান করেছেন তিনি।

দোকানে সবচেয়ে দামি জিনিস কী আছে জানতে চাইলে বলেন, বিদেশি মধু যার দাম ৬৫০ টাকা। ছোট সাইজের বিদেশি রোস্টেড কাজু বাদাম যার দাম ৩৭০ টাকা। এছাড়া ছেলেদের জিলেট ফোম ও ব্লেড থেকে মেয়েদের সব ধরনের প্রসাধন সামগ্রী ও পারফিউম পাওয়া যায় দোকানে।

দোকানে সবচেয়ে বেশি কী বিক্রি হয় জানতে চাইলে তিনি জানান, কোমল পানীয়, চকলেট, চানাচুর, ড্রাইকেক, সিপারেটসহ অন্যান্য পণ্য সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। এছাড়া ময়দা, আটা, তেল, নুডলস, চা পাতা, কনডেন্সড মিল্কও প্রচুর বিক্রি হয়। দোকানের আরেকটি আকর্ষণ হলো কফি, প্রতি কাপের দাম ২৫ টাকা।

কত দামের চাল বিক্রি হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৪৫ টাকা দরের আতপ চাল রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশি চলে। পোলাও চালও এখানে বিক্রি হয়। প্রতিদিন কত টাকার বিক্রি হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।