আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

আসামের সঙ্গে আরও যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার ওই আলোচনায় হাইকমিশনার দুদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের পথে অনেকদূর অগ্রসর হয়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবে অনেক সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমান উন্নয়ন চিত্র সম্পর্কে আসামের জনগণকে পরিচিত করাতে এবং দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক সাংস্কৃতিক বিনিময়ের এবং ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের মাধ্যমে এ দুই অঞ্চলের জনগণের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপনের প্রতি হাইকমিশনার জোর দেন।

মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়াল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বাণিজ্য জটিলতা নিরসনে দুদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধি ও আমদানি রফতানির সঙ্গে সরাসরি জড়িতদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক ও যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

এর আগে মোহাম্মদ ইমরান গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তামাবিল শুল্কস্থল বন্দর ইমিগ্রেশন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, তামাবিল চুনা পাথর ,পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ এবং তামাবিল ইমিগ্রেশন ও কাস্টাম‘স কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া তিনি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সংলগ্ন বধ্যভূমি পরিদর্শন করেন ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। একইদিনে হাইকমিশনার মেঘালয়ের ডাউকি শুল্ক স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। এছাড়া সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ভারতের প্রস্তাবিত নতুন বন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন।

এর আগে হাইকমিশনার শিলং-এ মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা ও মেঘালয় সফররত ভারতের লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া মেঘালয়ের প্রাদেশিক সভার স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের সাথেও হাইকমিশনারের দেখা করেন।