বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দিলো চার সংগঠনের জোট

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী একসঙ্গে পালনের ঘোষণা দিয়েছিল গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ছাত্র-যুব-শ্রমিক অধিকার পরিষদ ও রাষ্ট্রচিন্তা মিলে গঠিত জোট। তারই অংশ হিসেবে ১০জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিয়েছে এই জোট। সোমবার (১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, আজকে এই যে আপনাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) সম্মাননা প্রদানের যে ক্ষুদ্র প্রয়াস করা হয়েছে। সেটার সঙ্গে আরেকটি প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় এসেছে, অসম্পূর্ণ মুক্তিযুদ্ধকে আমাদের সবাই মিলেই সম্পূর্ণ করতে হবে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা সবসময় ৩০ লাখ শহীদের কথা বলি কিন্তু সেই তালিকাটি কোথায়, সেই তালিকা আছে ভারতের কাছে। সেই তালিকা ভারত দেয় না কেননা সেটা প্রশ্ন তুলবে এত মানুষ মারা গেলে কেন?

তিনি সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বলেন, আমরা স্বল্প সময়ে এই কাজ (আজকের অনুষ্ঠান) করেছি, হয়ত ভুল-ভ্রান্তি হয়েছে। কিন্তু আমরা মনের দিক থেকে আপনাদের সঙ্গেই আছি। আমরা আরও বড় কিছু করতে চাই, হয়তো ডিসেম্বরে। তখন এই ভুল-ভ্রান্তি থাকবে না।

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হুদা, ক্যাপ্টেন (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, মিজানুর রহমান খান, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, আবুল বাশার, লায়লা পারভীন বানু, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মোজাম্মেল হোসেন ও একেএম রেজাউল হককে সম্মাননা দেওয়া হয়। তাদের একটি করে সম্মাননা ক্রেস্টও দেওয়া হয়। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ছাত্র-যুব-শ্রমিক অধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, রাষ্ট্রচিন্তার হাসনাত কাইয়ুম তাদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে ভাসানী অনুসারী পরিষদের নেতা ফরিদ উদ্দিন,রাষ্ট্রচিন্তার আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।