করোনা মহামারি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা কাঁচাবাজার খোলা রাখা যাবে। কিন্তু রাজধানীর কাঁচাবাজারে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। বিষয়টি যেন দেখারও কেউ নেই। তাছাড়া বাজারগুলো উন্মুক্ত স্থানেও স্থানান্তর হয়নি। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) নগরীর বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সকালে খিলগাঁও সিটি করপোরেশন কাঁচাবাজারে দেখা গেছে, গাদাগাদি করেই শাক-সবজি বিক্রি করা হচ্ছে। দুই-একজন বিক্রেতার মুখে মাস্ক দেখা গেলেও অনেকের মুখেই নেই। ক্রেতাদেরও কারও মুখের মাস্ক থুতনিতে, আবার কারও পকেট। কোথাও ছিল না সামাজিক দূরত্ব।
কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারেও একই অবস্থা। অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। কেটাকাটাও চলছে গাদাগাদি করে। যত্রতত্র হাঁটছেন মানুষ। বাজারের প্রবেশমুখগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা জীবাণুনাশক কিছুই ছিল না। সিটি করপোরেশন বা অন্য কোনও সংস্থাকেও বাজার মনিটরিং করতে দেখা যায়নি। মাস্ক ব্যবহার না করার বিষয়ে জানতে চাইলে নবীর উদ্দিন নামে একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘কাজের ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় ভুলে যাই। তাছাড়া গরমে ঘামের সঙ্গে ভিজে যায়। মানুষও কিছু বলে না। করোনা হলেই এমনিতেই হবে। মাস্ক পরলেও হবে না পরলেও হবে।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কাঁচাবাজারগুলো উন্মুক্ত স্থানে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য কাজ চলছে। আমরা এরই মধ্যে আমাদের কাউন্সিলর, নির্বাহী কর্মকর্তা ও ডিএনসিসির বাজার শাখাকে নির্দেশনা দিয়েছি, তারা যেন এগুলোকে উন্মুক্ত স্থানে নিয়ে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য আমরা অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। এর মধ্যে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করা। মাঠ খুঁজে বের করে কাঁচাবাজারগুলো সেখানে স্থানান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।’
একই কথা জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী। তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের কয়েকটি ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনা হচ্ছে। আমাদের মেয়রও কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।’
ছবি: নাসিরুল ইসলাম